ব্যুরো নিউজ ২৪ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডে মৃত চিকিৎসকের শাস্তির প্রতিবাদে রাজ্যবাসিরা জানিয়েছিলন তারা উৎসবে ফিরবেনা।তারই কি প্রভাব পরেছে কুমোরটুলিতে? কুমোরটুলির পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সাধারণত পুজোর মাসখানেক আগে থেকেই তরুণ-তরুণী ও চিত্রগ্রাহকদের ভিড় বেড়ে যায় এই এলাকায়। কিন্তু এবারে কুমোরটুলির মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রণজিৎ সরকার জানান, ‘‘পুজোর দু’সপ্তাহ আগে এত কম ভিড় আগে কখনও দেখিনি।’’
দুর্গাপুজোর আগেই খুশকি দূর করুন? বেকিং সোডা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
শঙ্কায় মৃৎশিল্পীরা
মৃৎশিল্পীদের স্টুডিয়োয় ছবি তোলার জন্য নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কুপন কাটতে হয়। সেই টাকা স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যয় করা হয়। গত বছর রবিবার প্রতি কুপন থেকে গড়ে ১০-১২ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হলেও এই রবিবার তা ছিল মাত্র চার হাজার।এতো কম ভিড়ের কারণ কি? মৃৎশিল্পী মিন্টু পালের মতে, ‘‘আর জি করের নৃশংস ঘটনা সকলের মনে প্রভাব ফেলেছে। এর পরে বিচার দাবিতে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন স্থানে মিছিল এবং বিক্ষোভ হয়েছে।’’ ফলে কুমোরটুলিতে কলেজ পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে।তবে তরুণ-তরুণীরা বলছেন, ‘‘আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ আমাদের থেমে থাকবে না। আমরা নিজেদের এলাকায় রাতে মিছিলে হাঁটছি। কিন্তু পুজো তো থেমে থাকতে পারে না। এ বছর আমাদের অসুর নিধনের সঙ্কল্প নিতে হবে।’’
আইএমএ নির্বাচন: শান্তনু সেনের সিদ্ধান্ত এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি
মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, সাধারণত পুজোর এক মাস আগে থেকেই উৎসবের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার, পরিস্থিতি ভিন্ন। রণজিতের মতে, ‘‘আর জি করের ঘটনার আগেই অধিকাংশ মৃৎশিল্পীর কাছে বায়না হয়ে গিয়েছিল। তাই প্রতিমার বায়না তেমন প্রভাবিত হয়নি। তবে সাজ শিল্পীদের বিক্রিতে কোপ পড়েছে।’’সাজ শিল্পী কমল পাল ও বিনয় পালের মতো শিল্পীরা জানান, ‘‘মৃন্ময়ী প্রতিমাকে সাজানোর জন্য এখানে প্রায় ৩০টি সাজ শিল্পের দোকান রয়েছে। কিন্তু আর জি কর-কাণ্ডের পরে উদ্যোক্তারা জৌলুসহীন পুজোর দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে সাজ শিল্পের ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন।’’এভাবে দেখা যাচ্ছে, কুমোরটুলির পুজোর পরিবেশ এবার অনেকটাই আলাদা। বিশেষত, তরুণদের মধ্যে ঘটে যাওয়া সামাজিক আন্দোলন পুজোর আনন্দকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে। আশা করা যায়, পুজোর দিনগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে এবং আনন্দ ফিরে আসবে।