ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:কলকাতার কসবা এলাকায় শাসক দলের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে বিহারের দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধরির দলের হাত থাকতে পারে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, হামলায় জড়িত অপরাধীদের মধ্যে একজন, যুবরাজ সিংহ গ্রেফতার হলেও, বাকিরা এখনও পলাতক।তাদের খোঁজে লালবাজারের একটি দল বিহারে গিয়েছে।জানা গেছে, সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার পেছনে মূলত গুদামের দখল সংক্রান্ত শত্রুতার কারণ রয়েছে। তবে, তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, এলাকা দখলের ইস্যুও এই হামলার পেছনে কাজ করতে পারে। গ্রেফতার হওয়া যুবরাজ সিংহ পাপ্পুর দলের নতুন সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিহারের বিভিন্ন থানায় ৪০টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
আবাস প্লাসের তালিকায় বঞ্চিতঃ সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত নিম্নবর্গের মানুষ
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিল চিত্র
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গুলি চালানো এবং হামলার জন্য ব্যবহৃত স্কুটারটি সাত দিন আগে কিনেছিল মূল চক্রী গুলজ়ার। এরপর স্কুটারের নম্বর প্লেটও বদলে দেয় তারা, যাতে পুলিশের নজর থেকে বাঁচতে পারে। গুলজ়ারই তাদের মোবাইল নম্বরও পাল্টাতে সাহায্য করেছে।এছাড়া, কসবা হামলার তদন্তে আরও একটি নাম সামনে এসেছে—গুলশন কলোনির বাসিন্দা জুলকার। তার বিরুদ্ধে দেড়শোরও বেশি মামলা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুলকারের নামে এলাকায় বিভিন্ন বেআইনি নির্মাণ ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুশান্ত ঘোষের আসার পর থেকেই জুলকারের দাপট কিছুটা কমতে শুরু করেছিল, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে বিতর্কঃ শাসক দলের নেতাদের বিস্ফোরক মন্তব্য
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুশান্ত ঘোষ পুরপ্রতিনিধি হিসেবে আসার পর থেকেই ওই এলাকায় কিছুটা আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসে। সুশান্ত বিভিন্ন বেআইনি কাজ নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু জুলকার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। সুশান্তের দাবি,’জুলকারের সম্ভবত কোনো প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে আঁতাঁত ছিল, এবং তার স্বার্থে আঘাত লাগার কারণেই এই হামলা হয়েছে।’এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ অনেকেই মনে করছেন, এই হামলার পেছনে শুধু জমি দখল সংক্রান্ত শত্রুতা নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের একটি জটিল চিত্রও কাজ করছে।