ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম, যা ১৫১ বছরের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত, সেই ট্রামকে রক্ষার জন্য পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি সামনে এসেছে, শহরের রাস্তাগুলো থেকে ট্রাম সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, যা বাঙালির হৃদয়ে গভীর আঘাত এনেছে। তিলোত্তমার এই অন্যতম ঐতিহ্য এভাবে শেষ হতে দেখা কেউই মেনে নিতে পারছে না।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভোর চ্যালেঞ্জ
পরিচালক অনীক দত্তের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
নতুন করে ট্রামকে রক্ষা করার জন্য সোচ্চার হয়েছেন অনেকে, তাদের মধ্যে পরিচালক অনীক দত্তের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। তিনি লিখেছেন, “কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম শুরু হয়েছিল ঘোড়ার মাধ্যমে, আর শেষ হচ্ছে গাধার মাধ্যমে।” সরকারের প্রতি এই তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ তার স্টাইলের পরিচায়ক।বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন। তারা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করেন, জানিয়ে দেন ট্রামের প্রতি তাদের ভালোবাসার গভীরতা।রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী সম্প্রতি জানিয়েছেন, শহরের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি মাত্র রুট ছাড়া আর কোথাও ট্রাম চালানো হবে না। কলকাতা হাইকোর্টে চলমান একটি জনস্বার্থ মামলায় সরকার জানিয়েছে, এসপ্ল্যানেড থেকে ময়দান পর্যন্তই ট্রাম চলবে, অন্য রুটগুলো বন্ধ থাকবে। যদিও ট্রামের প্রতি সবার আবেগ রয়েছে।কিন্তু যানজট মুক্ত রাখতে শহরের রাস্তাগুলোতে ট্রাম চলানোর সুযোগ নেই।
কালিম্পংয়ে ধস ও বিদ্যুতের অভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে, তৃণমূল নেতা দেবাংশু ফেসবুকে ট্রাম নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যারা নস্টালজিয়ায় ফিরতে চান, তারা ধর্মতলা থেকে ময়দান রুটে ট্রাম চেপে আসতে পারেন।” তবে তিনি আরও যোগ করেছেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে এবং যানজট কমাতে ট্রামের রুটে বহুবার ছাঁটাই করা হয়েছে। ট্রামকেও একদিন যেতে হত, বাস্তবতার প্রয়োজনে।”এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রামকে বাঁচাতে সাধারণ মানুষের এই প্রচেষ্টা কি সফল হবে? কলকাতার এই ঐতিহ্য রক্ষার জন্য লড়াই চলছে, এবং আশা করা যাচ্ছে, মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের পছন্দের ট্রামকে আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।