ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি:কলকাতার বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিন সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন। কিন্তু তাঁর ঘোষণার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হওয়া শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় সেনাকে শক্তিশালী করতে কোন অস্ত্রে কত বরাদ্দ করলেন সীতারামন
১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ?
রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, “এই ঘটনাটি চেপে যাওয়ার মতো নয়। তদন্ত হবে এবং যারা দোষী তারা শাস্তি পাবে।” তবে ফিরহাদ বলেন, যে তিনজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন, তারা ছিলেন গরিব মানুষ, তাই তাঁর পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়, কারণ সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩ সালের নির্দেশ অনুসারে, ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে, সরকারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু ফিরহাদের ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁর দেওয়া ক্ষতিপূরণ সেই পরিমাণের মাত্র এক তৃতীয়াংশ! এটি নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।এই বিতর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রাথমিকভাবে তিনি ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন, তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মহাকাশে আট মাস,কেমন আছেন সুনীতা উইলিয়ামসরা?
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল, যদি কোনো শ্রমিক ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন অথবা অক্ষম হয়ে যান, তাহলে তার পরিবারকে যথাক্রমে ৩০ লাখ এবং ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া, কোনও পরিস্থিতিতেই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ লাখ টাকার কম হতে পারে না।বানতলা দুর্ঘটনায় নিহত তিন শ্রমিক কেএমডিএ (কলকাতা নগরোন্নয়ন সংস্থা)-র অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। একে একে তারা তিনজনই ম্যানহোলে নামেন, কিন্তু একটি মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া না যাওয়ার কারণে আরও দুজন নিচে নামেন। পরে তাদের সকলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।এখন সবার নজর এটাই যে, শেষ পর্যন্ত সরকার নিহতদের পরিবারকে কতটুকু ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।