ব্যুরো নিউজ,২৯ অক্টোবর:মন্দিরে পশুবলি সংক্রান্ত একটি মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল না কলকাতা হাইকোর্ট।দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি কালীমন্দিরে পশুবলির রীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন পূর্ব ভারতের সকলকে নিরামিষাশী করা অবাস্তব ধারণা।মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, কালীমন্দিরে রাসপূর্ণিমার পর ১০ হাজারেরও বেশি পশুবলি দেওয়া হয়।বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি আদালতকে জানান, ‘সবাইকে নিরামিষাশী করা সম্ভব নয়।’ তার বক্তব্য, ‘আমি নিজেও ভীষণভাবে আমিষভোজী।’
তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভঃ সায়নি ঘোষের জুতোপেটার নির্দেশ
সমস্ত পশুবলি বন্ধ করলেও কার্যকরী করবে কে?
আদালত মামলাকারীর উদ্দেশে প্রশ্ন করে, ‘আপনার কি এই আবেদন শুধু একটি মন্দিরের জন্য ?’ মামলাকারীর আইনজীবী জানান, এটি শুধুমাত্র ওই কালীমন্দিরের রেওয়াজের বিরুদ্ধে একটি মামলা। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরি ধর্মীয় আচার পালনের অধিকার মেনে পশুবলির রীতি আসবে না। তবে আদালত এতে প্রশ্ন তোলে, ‘আপনি কীভাবে জানলেন যে এটি জরুরি ধর্মীয় আচারের মধ্যে পড়ে না?’ বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, ‘বাংলার এই অঞ্চলে ধর্মীয় আচারের ধরণ উত্তর ভারতের ধর্মীয় আচারের তুলনায় ভিন্ন। পুরাণে বলা আছে, পৌরাণিক চরিত্ররা নিরামিষ খাদ্য খেতেন না।’ অ্যাডভোকেট জেনারেল মামলাটি জনস্বার্থ সম্পর্কিত নয় বলে মনে করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশে বলা হয়েছে, পশুবলির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা আদালতের নেই; এটি বিধানসভার কাজ।
দিল্লিতে আপ-কংগ্রেস নতুন দ্বন্দ্ব, ন্যায় যাত্রায় কংগ্রেস
আদালতের নজরে আসে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি।বিচারপতিদ্বয় বলেন, ‘যদি এ ধরনের রেওয়াজের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হয়, তবে রাজ্য সরকারকে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মামলাকারীর আইনজীবীকে বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ‘যদি আদালত সব পশুবলি বন্ধ করার নির্দেশও দেয়, তবে তা কার্যকর হবে কীভাবে?’ হাই কোর্টে আগেই একই ধরনের একটি মামলার শুনানি চলছে। আদালত এই নতুন মামলাটিকে পূর্ববর্তী মামলার সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।