ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর :কলকাতার সাধারণ যাত্রীদের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে এক ভয়াবহ বাস সংকট। আগামী চার মাসের মধ্যে শহর থেকে উধাও হতে পারে প্রায় ১২০০ বেসরকারি বাস এমনটাই জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। পরিবেশ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বহু বাস বাতিল করা হবে। তবে এই সংকট মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সাড়া না পেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি।
দীপাবলিতে কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
হাইকোর্টের দারস্ত বাস মালিক সংগঠনগুলি
পশুবলির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যঃ পূর্ব ভারতকে নিরামিষাশী করা সম্ভব নয়
মঙ্গলবার সিটি সাব-আরবান বাস সার্ভিসের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যেখানে ৫১টি বেসরকারি বাস রুটের মালিকরা অংশ নেন। তাদের দাবি পরিবেশ আদালতের ১৫ বছরের মেয়াদ সংক্রান্ত নির্দেশিকার কোনো নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি নেই। তাই তারা চাইছেন হাইকোর্টের মাধ্যমে বিষয়টি পর্যালোচনা করে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আনা হোক। তাদের আশা বিচারাধীন প্রক্রিয়া চলাকালীন যেসব বাস বাতিলের মুখে পড়তে চলেছে, সেগুলি কিছুদিনের জন্য হলেও রাস্তায় চালানো সম্ভব হবে।
দীপাবলিতে শব্দবাজি তাণ্ডব থেকে কিভাবে পোষ্যদের নিরাপদে রাখবেন?
পরিবহন দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, করোনা পূর্ববর্তী সময়ে কলকাতায় প্রায় ৪ হাজার ৮৪০টি বেসরকারি বাস চলতো। বর্তমানে চলছে ৩ হাজার ৬১৫টি বাস যা যাত্রীদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। মিনিবাসের সংখ্যাও কমে ২ হাজার ৬৪ থেকে নেমে এসেছে ১ হাজার ৪৯৮-এ। এই সংকট আরও ঘনীভূত করার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, যে হারে বাস বাতিল হচ্ছে সেই তুলনায় নতুন বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে না। আনুপাতিক হারে ১০টি বাস বাতিল হলে, মাত্র ৩টি নতুন বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এতে বাস পরিবহনের ঘাটতি পূরণ হতে প্রায় চার মাস সময় লাগছে, যা যাত্রীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের নতুন স্ক্র্যাপ নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাস মালিক সংগঠনগুলি যা অনেক বাসকে স্থায়ীভাবে বাতিলের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে হাইকোর্টে জানানো হবে, এই বাস সংকট সমাধানে তৎপরতা না দেখালে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।