ব্যুরো নিউজ, ৩০ মে: দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে অদ্ভুত ‘যুদ্ধপন্থা’ কিমের! বোমা, গুলি, মিসাইল নয়। বরং মলমূত্র, আবর্জনা দিয়েই একপ্রকার ‘হামলা’ চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
CAA-এর অধীনে নাগরিকত্ব পেতে শুরু করেছে বাংলার মানুষ। দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
জায়গায় জায়গায় পড়ে রয়েছে আবর্জনা, মলমূত্র ভর্তি বড় বড় বেলুন। তা দেখে কার্যত মাথায় হাত সে দেশের সরকারের। বুধবার সকালে এমন দৃশ্য নজরে আসে। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানী সিওল, দক্ষিণ গিয়াংসাং, দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশগুলিতে রাস্তা- ঘাটে সর্বত্র পড়ে রয়েছে কারি কারি আবর্জনা, মল। আর বেলুনে বাঁধা রয়েছে সে সকল নোংরার বস্তা। এমনকি কমপক্ষে এমন ২৬০টি বেলুন উদ্ধার করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ, গ্যায়ংগি-গ্যাংওন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া থেকেই এই সকল নোংরা আবর্জনা ভর্তি বেলুন সে দেশে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় নাগরিকদের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এমনকি ওই বস্তাগুলি নাগরিকদের স্পর্শ না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমন কোনও বেলুন বা বস্তা পেলে, সামরিক ঘাঁটি বা থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে সামরিক বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বড় বড় মাপের সাদা রঙের বেলুনগুলির সঙ্গে বাঁধা রয়েছে বস্তা। আর তাতেই রয়েছে বজ্র পদার্থ, নোংরা, আবর্জনা। এছাড়াও কয়েকটি লিফলেটও দেখা গিয়েছে। সেই লিফলেটগুলিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি সে দেশের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতায় যাতে আঘাত লাগে সেই উদ্দেশ্যেও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
তবে এই বেলুনের পন্থা দক্ষিণ কোরিয়ারই। এর আগে বেলুন পাঠানো শুরু করে ছিল দক্ষিণ কোরিয়াই। দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় সরকারবিরোধী প্রচার চালাচ্ছিল। আর সে দেশের এই পদক্ষেপে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয় উত্তর কোরিয়া। এরই প্রতিশোধে উত্তর কোরিয়া এমনই পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল।