ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:কাশ্মীর উপত্যকার রেলপথ নির্মাণে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জিত হতে চলেছে। কুতুব মিনারের থেকেও ১০৫ মিটার উঁচু একটি স্তম্ভ এখন কাশ্মীরের ইতিহাসে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটি উধমপুর শ্রীনগর বারামুলা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের (ইউএসবিআরএল) ৩৯ নম্বর সেতুর অন্তর্গত স্তম্ভ, যা বর্তমানে প্রকল্পের সবচেয়ে উচ্চতম বিন্দু। এই স্তম্ভটি ৩২ তলা একটি ভবনের সমান এবং কাশ্মীরের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় রেল যোগাযোগের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার একটি মূল অংশ।
আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে বয়কটের আহ্বান জানালেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা
উঁচু কংক্রিটের দেওয়াল
৩৯ নম্বর সেতুর পাঁচ নম্বর স্তম্ভটি প্রায় ৪৯০ মিটার দীর্ঘ এবং এটি ৯২৭টি সেতুর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। সেতুটি বানিহাল থেকে কাটরা হয়ে উপত্যকার প্রবেশদ্বারের দিকে চলে গেছে। এই সেতুর শীর্ষ স্তম্ভটি রিয়াসি স্টেশনেও পৌঁছেছে, যেখানে নির্মাণ কাজ চলছে। এই সেতুর চারপাশের পাথরকে ইস্পাতের জাল দিয়ে বাঁধা হয়েছে, যাতে বৃষ্টি বা ভূমি ধসের কারণে স্তম্ভের ভিত নড়বড়ে না হয়ে যায়।এই রেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত চেনাব ব্রিজটি রেল চলাচলের জন্য উপযুক্ত বলে চিহ্নিত হয়েছে, তবে সেতুটি চালু করার আগে রিয়াসি স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে রিয়াসি স্টেশনটি খাড়াই পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত, এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাটি ও পাথরের ধস থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ৪০ মিটার উঁচু কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাঃ ত্রিমুখী লড়াইয়ের প্রস্তুতি
রিয়াসি স্টেশনটি এক ঐতিহাসিক প্রকল্পের অংশ, যেখানে ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি চলছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬১০ মিটার, এবং এটি স্থানীয় জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে উঠছে। এই স্টেশনের মাধ্যমে কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে।এখন রেল কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হল, এই সেতু ও স্টেশন চালু হলে, দক্ষিণে জম্মু থেকে উত্তরে কাশ্মীর পর্যন্ত রেল চলাচল সম্ভব হবে। বর্তমানে বারামুলা থেকে শ্রীনগর হয়ে সঙ্গলদান পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, আর কাটরা থেকে রিয়াসি পর্যন্ত রেললাইন চালু হলে গোটা কাশ্মীর দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাবে।