ব্যুরো নিউজ,১৫ ফেব্রুয়ারি :২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে তৃতীয় কাশী তামিল সঙ্গম আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানটি মূলত কাশী এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সংযোগকে তুলে ধরবে, যা ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ মেলা এবং অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের সঙ্গেও মিলছে।
কাশী তামিল সঙ্গম ৩.০ঃ সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং আধ্যাত্মিক বন্ধনের এক মহা যাত্রা
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
কাশী তামিল সঙ্গমের তৃতীয় সংস্করণটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি ভারতের বিভিন্ন সংস্কৃতির একতা ও বৈচিত্র্যকে উদযাপন করবে। এই অনুষ্ঠানে আধ্যাত্মিক যাত্রা, সিদ্ধ চিকিৎসা, এবং তামিল সংস্কৃতি বিশেষভাবে উঠে আসবে। বারাণসী এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে দুই অঞ্চলই প্রাচীন ভারতের শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই বছরের কাশী তামিল সঙ্গমের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর মধ্যে দুটি প্রধান অনুষ্ঠান একসাথে মিলিত হচ্ছে: মহাকুম্ভ মেলা এবং রাম জন্মভূমি মন্দির উদ্বোধন। এর ফলে অংশগ্রহণকারীরা প্রয়াগরাজে পবিত্র স্নান এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির দর্শন করতে পারবেন, যা তাদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।এই বছরের কাশী তামিল সঙ্গমে যুবকদের অংশগ্রহণের উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে ৪,০০০ এরও বেশি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং এবার প্রশাসন ১,০০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেওয়ার আশা করছে। অনুষ্ঠানে ৫টি প্রধান বিভাগ থাকবে: শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষক ও কারিগর, পেশাদার, নারী এবং গবেষক।
তামিলনাড়ু গভর্নর আর.এন. রবি কাশী তামিল সঙ্গম ৩.০-এর প্রথম ট্রেন উদ্বোধন করলেন
এছাড়া, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ জন তামিল শিক্ষার্থী ভ্রমণ করবেন বারাণসী, প্রয়াগরাজ এবং অযোধ্যায়, যেখানে তামিল সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য প্রদর্শন করতে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানটি কেবল সাংস্কৃতিক ঐক্যই নয়, আধ্যাত্মিক ও চিকিৎসাশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও তুলে ধরবে। বিশেষভাবে, ঋষি অগস্ত্যের অবদান এবং ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির সিদ্ধ ব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হবে, যা তামিল সংস্কৃতির অমূল্য অংশ।এই বছর কাশী তামিল সঙ্গম একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক মঞ্চ হিসেবে পরিচিত হবে, যা সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি স্মরণীয় এবং সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।