ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:কর্ণাটক সরকারের মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণের পরিকল্পনায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভাবনাকে এবার রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হতে পারে। সেখানে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ রাখা হবে। তবে, বিজেপি এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিশেষ করে অমিত মালব্য অভিযোগ করেছেন যে, এটি সংবিধান অমান্য করার ক্রমবর্ধমান অভ্যাস।
ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার আরও চার জন
বিতর্কের সৃষ্টি
ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কর্ণাটক সরকার বর্তমানে ৪৩ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর করেছে।এর মধ্যে ২৪ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য। এছাড়া, ৪ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য। ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ বরাদ্দ রয়েছে ক্যাটেগরি-২এ ওবিসি-দের জন্য। তবে, মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি ক্যাটেগরি-২এ ওবিসি-র অধীনেই যুক্ত হবে, ফলে সরকারি টেন্ডারে সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছাবে।এই পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তারা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে দাবি করেছেন, মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, সরকার ভবিষ্যতে সংরক্ষিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট ক্রমান্বয়ে না, বরং র্সমান ভাবে টেন্ডার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সমস্ত সংরক্ষিত গোষ্ঠীই সমান সুযোগ পায়।
৩১টি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচনঃ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষা
বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া বেশ তীব্র। অমিত মালব্য বলেছেন, যদি রাজ্য সরকার মুসলিমদের জন্য এই কোটার ব্যবস্থা করে, তবে সেটা কিসের হিসাব থেকে নেওয়া হবে—তফসিলি জাতির, তফসিলি উপজাতির, নাকি অন্য কোনো অনগ্রসর শ্রেণির? তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে, এটি এক ধরনের সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ। সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষে নয়। তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ কেবলমাত্র রাজনৈতিক লাভের জন্য। বিশেষ করে মুসলিম ভোট ব্যাংককে টার্গেট করে নেওয়া হচ্ছে।এদিকে, কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই পদক্ষেপ মূলত টেন্ডার বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও সমান সুযোগের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে। সংরক্ষিত গোষ্ঠীগুলোর জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। তবে, বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হওয়ার আগে আরও বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।