ব্যুরো নিউজ ১ অক্টোবর: মহাতীর্থ কালীঘাটে ভক্তরা মনের সুপ্ত ইচ্ছা পূরণের জন্য ‘মানত’ করেন। কেউ আবার মন্দিরের আশপাশে ঢিল বেঁধে চলে যান। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরেও গাছের ডালে ভক্তরা বছরের পর বছর ধরে কিছু বেঁধে রেখে যান। এই ধর্মীয় আবেগ ও বিশ্বাসের ফলে কালীঘাট এবং পুরীর মন্দিরের পাশাপাশি ফতেপুর সিক্রিতেও পিরবাবার মাজারে গিট বাঁধার প্রচলন রয়েছে।
এইবার পুজোতে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন দোকানের স্টাইলে সুস্বাদু রেসিপি মিষ্টি সন্দেশ
দর্শকদের নতুন আকর্ষণ
এই বছর কালীঘাট মন্দিরের উলটো দিকে মিলন সংঘের ‘মানতপুরী’ শারদ ভাবনা নতুন রূপে হাজির হয়েছে। পুজোর আগেই মহাতীর্থ কালীঘাটে পুণ্যার্থীদের মধ্যে এই ‘মানতপুরী’ নিয়ে এক নতুন উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। লক্ষাধিক ছোট পাথরের টুকরো, মিনি পিতলের ঘণ্টা, লাল বেনারসির টুকরো এবং সাড়ে পাঁচ হাজার বাল্বের আলোয় ঝলমল করে উঠেছে এই মণ্ডপ।কালীঘাট মন্দির থেকে বেরিয়ে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকে পঞ্চাশ ফুট এগোলেই বাঁদিকে বাঁশ ও মানতের সামগ্রী দিয়ে সাজানো গেটগুলো দেখতে পাবেন। প্রতিটি গেটে অজস্র ঢিল ও ছোট ঘণ্টা ঝুলছে, পাশাপাশি রয়েছে সিঁদুর চুপড়ি, শাঁখা-পলা, মঙ্গলঘট, কুলো, চালনের মতো পুজোর উপকরণ। কনেবউয়ের মাথার লাল টুকটুকে ছোট ওড়না স্থান পেয়েছে।প্রায় দেড়শো মিটার দীর্ঘ প্রবেশপথের দুপাশেও ভক্তদের আর্তি জানানো ‘মানত’ চিহ্ন ফুটে উঠেছে। বালুরঘাটের আমতলি ও নবদ্বীপের শিল্পীদের নিয়ে দুই মাস ধরে পরিবেশবান্ধব এই মণ্ডপ তৈরি করেছেন রাজনারায়ণ সাহা চৌধুরি। একচালা প্রতিমা চিরন্তন বাঙালির মাতৃআরাধনার ভাব ও ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেবে দর্শকদের।নির্মাণশিল্পী রাজনারায়ণ বহু বছর ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিখ্যাত পুজোর মণ্ডপ গড়লেও এই প্রথম কলকাতার মাটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় শারদ ভাবনা ফুটিয়ে তুলেছেন।
শিরদাঁড়া থিমঃ পুজোর আনন্দে বিতর্কের ছায়া
বিশেষ উল্লেখ্য যে, সাড়ে ছয় হাজার বাঁশ বালুরঘাট থেকে এনে এই মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে। নদিয়া, বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুর থেকে পুজোর নানা উপকরণ সংগ্রহ করে ৬৫ ফুট উচু এই বর্ণময় মণ্ডপ তৈরি করেছেন।পুজোর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মণ্ডপে পা রাখলে মনে হবে, এক পুরাতন ঐতিহ্যের ঘেরা দেবী মহামায়ার জাগ্রত মন্দিরে এসেছেন। এখানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত মানত করছেন, এবং ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ করছেন ভগবান। আপনারাও আসুন, আপনাদেরও মানত পূরণ করবেন দেবী দশভুজা।