ব্যুরো নিউজ ২৩ অক্টোবর : দীপাবলির আগে চতুর্দশীতে ১৪ প্রকার প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার ঐতিহ্য প্রচলিত। এই রীতি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও। প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলোতে যেমন চরক সংহিতা, সুশ্রুত সংহিতা ও অষ্টাঙ্গ হৃদয়ে ১৪ প্রকার শাকের উল্লেখ আছে, এই শাকগুলোর বিশেষ গুণ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
আধার আপডেটের কাজ শুরু হবে এবার পোস্ট অফিসেও
এখন চলুন জানি এই শাকগুলো ও তাদের উপকারিতা:
১. ওল: অর্শ ও প্লীহা বৃদ্ধির রোগের চিকিৎসায় কার্যকর।
২. কেঁউ: পাতার রস হজমের সহায়ক, বিভিন্ন রোগ যেমন জ্বর, আমাশা, এবং চর্মরোগে উপকারী।
৩. বেতো (বেথুয়া): ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ, কোষ্ঠবদ্ধতা, রক্তাল্পতা এবং ত্বকের রোগে কার্যকর।
৪. কালকাসুন্দে: অ্যালার্জি ও জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৫. সরিষা: ভিটামিন K, C ও E সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
৬. নিম: কুষ্ঠ ও চর্মরোগের চিকিৎসায় উপকারী।
৭. জয়ন্তী: বহুমূত্র, শ্বেতী ও কৃমিনাশের জন্য কার্যকর।
৮. শালিঞ্চা: চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী, ডায়রিয়ার চিকিৎসায়ও সাহায্য করে।
৯. গুড়ুচি: ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১০. পটলপত্র: রক্তশোধক এবং লিভার ও চর্মরোগে উপকারী।
১১. শেলুকা: মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং চোখের রোগের চিকিৎসায় কার্যকর।
১২. হেলেঞ্চা: রক্তশোধক ও ক্ষুধাবর্ধক।
১৩. ঘেঁটু (ঘণ্টাকর্ণ): চুল পড়া, হাঁপানি ও জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত।
১৪. শুষনি: মাথার যন্ত্রণা ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
পুনে থেকে কলকাতায় আসা বিমানে ফের বোমার হুমকি
এই সব শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এই শাকগুলো সহজেই জন্মে, তাই যদি আমরা এগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করি, তবে পরিবারকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করবে এবং আর্থিক লাভও হবে।