ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর :মহাকালের প্রতীক দেবী মহাকালী যিনি উগ্র রূপে অশুভ শক্তির বিনাশ করেন। দেবী রণচণ্ডী ও দশমহাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যা হিসেবে পরিচিত মহাকালী সৃষ্টির আদি ও অনন্তের প্রতীক। কিন্তু কীভাবে দেবী মহাকালী আবির্ভূত হলেন এবং তার প্রয়োজনীয়তা কেন অনুভূত হয়েছিল? শ্যামাপুজোর দিন কীভাবে দেবীর আশীর্বাদ পাবেন?
ভূত চতুর্দশীর দিনটি রাশি অনুযায়ী কেমন যাবে আপনার? কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্রে
সৃষ্টির শুরুতে যখন ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় আচ্ছন্ন ছিলেন। তখন তার নাভিকমল থেকে জন্ম নেয় ভীষণ দুটি ওষুধ, মধু ও কৈটভ। এই দুই ভয়ঙ্কর ওষুধ ব্রহ্মাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করে। তখন ব্রহ্মা নিরুপায় হয়ে দেবী কালিকার স্তব করেন। ভক্তের ডাকে আবির্ভূত হন দেবী কালিকা। তিনি তার ভক্তদের জন্য সব সময় সদা প্রস্তুত।
কালীপুজোর দিন আশীর্বাদ পাওয়ার উপায়
দেবী কালিকা মাতার কাছে জাত, পাত কিংবা ধর্মের কোন বিচার নেই। যে ব্যক্তি নিঃস্বার্থভাবে মায়ের প্রার্থনা করে তিনিই হন মায়ের দৃষ্টিতে বিশেষ। কালীপুজোর দিন কিছু বিশেষ উপাচার পালন করলে দেবী কালিকার কৃপা পাওয়া যায়। কালীপুজোর দিন কীভাবে দেবীর আশীর্বাদ পাবেন, তা দেখে নিন:
কালীপুজোয় কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
- প্রদীপ জ্বালান: কালীপূজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত একটি ঘি-এর প্রদীপ ঠাকুরের আসনে জ্বালিয়ে রাখুন। নিশ্চিত করুন, প্রদীপটি যেন নিভে না যায়।
- কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ: রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বালান।
- উপবাস ও ব্রাহ্মণ ভোজন: কালী পূজার দিন যারা উপবাস করেন, তারা পরের দিন ব্রাহ্মণদের ভোজন করান। এর ফলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
- দান: কালী ঠাকুরের মন্দিরে আতপ চাল, গোটা নারকেল, ১০৮টি জবা ফুলের মালা এবং কিছু ঘি দান করুন।
- বট গাছের গোঁড়ায় তিল রাখুন: সন্ধ্যার পর বট গাছের গোঁড়ায় তিনবার কালো তিল রাখলে মনের আশা পূর্ণ হবে।
- খাড়া দান করুন: কোনও মন্দিরে একটি খাড়া দান করুন।