ব্যুরো নিউজ, ৪ অক্টোবর :দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন করে অশান্তির ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আবারও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। যা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে চাপের মধ্যে ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নতুন ‘বন্ড নির্দেশিকা’ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেডিক্যাল কলেজের বাইরে কর্তব্য পালন করছেন না।
জুনিয়র ডাক্তারদের সুপ্রিম কোর্টকে হুঁশিয়ারিঃ আমাদের স্বর দমিয়ে রাখা যাবে না
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অশান্তি
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের মাঝে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। বিশেষ করে বদলি সংক্রান্ত অভিযোগগুলো বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, সিনিয়র রেসিডেন্টদের ক্ষেত্রে বন্ডের নিয়ম মানা হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, মেডিক্যাল কলেজে কাজ করার জন্য নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও চিকিৎসকরা জেলা এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন না। এর ফলে হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নবরাত্রি আগে শোকের ছায়ায় আমির খান এবং রীণা দত্তের বন্ধুত্ব
এদিকে, বন্ডের নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসকদের জন্য তিন বছরের সময়সীমা রয়েছে—এর মধ্যে এক বছর মেডিক্যাল কলেজে এবং বাকি দুই বছর জেলা হাসপাতালে কাজ করতে হয়। কিন্তু এই নিয়মের উল্টো দিকে চলার কারণে স্বাস্থ্য ভবন মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং অধ্যক্ষদের কাছে প্রশ্ন তুলেছে।
পুজোর আগেই দুর্যোগের সতর্কতা দিল আবহাওয়া দফতর
জুনিয়র চিকিৎসকরা সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা করবেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটাও এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।এখন দেখার বিষয়, এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শান্তি ফিরে আসে কিনা।