ব্যুরো নিউজ, ৪ অক্টোবর :সম্প্রতি সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় বাংলাজুড়ে ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতির বিষয়টি নিয়ে মতভেদ দেখা দেওয়ায় সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনে সমর্থন জানালেও, পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে এসে অন্য কোনও পন্থা অবলম্বনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিদায় বেলায় ইস্টবেঙ্গলকে আবেগঘন বার্তা কার্লেস কুয়াদ্রাতের
সিনিয়রদের সমর্থন ও আলোচনা
৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমদিকে কার্যত লাগাতার কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরে জেনারেল বডি বৈঠকের মাধ্যমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে খুব দ্রুত আবারও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়, যা চিকিৎসক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পুজোর আগেই দুর্যোগের সতর্কতা দিল আবহাওয়া দফতর
বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে জেনারেল বডির বৈঠক করেন। সেখানে আলোচনা হয় আন্দোলনের আগামী পন্থা নিয়ে। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানান, তারা কর্মবিরতির পরিবর্তে অন্য কোনো আন্দোলনের পন্থা খুঁজতে চান।
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং নতুন বন্ড নির্দেশিকা
জানানো হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তাররা যে দশটি দাবি সামনে এনেছেন, তা হল নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেড মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শূন্যপদ পূরণ করা, হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি এবং প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা।সিনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আন্দোলন চলতে থাকুক। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হোক।