ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে আরও ৩৩ দিন তারা রাস্তায় অবস্থান করবেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে নবান্নে ঘটে যাওয়া এক জঘন্য ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বৈঠক হয়নি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘‘আমরা নবান্নে গিয়েছিলাম, যা চাইছিলাম তা হল আমাদের বোনের হত্যার বিচার। আমরা চাই যে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, এবং যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল, তাদের শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে ভরসা রেখেই আমরা গিয়েছিলাম।’’
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখ্যমন্ত্রী বয়কট: আন্দোলনের প্রতি সমর্থন
আরও ৩৩ দিন রাস্তায় থাকব
আন্দোলনকারীরা আরও জানান, ‘‘আমরা গত ৩৩ দিন ধরে রাস্তায় আছি এবং প্রয়োজন হলে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় থাকব। আমাদের বিচার চাই, চেয়ার চাই না।’’বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের কর্মবিরতির ফলে ইতিমধ্যে ২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সাত লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে, জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, ‘‘আমরা যে ভাইয়ের মৃত্যুতে দুঃখিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের সেবা চলছে এবং সিনিয়র ডাক্তাররা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে।’’
“মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের হুমকি: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে নতুন মোড়”
নবান্ন থেকে আন্দোলনকারীদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানানো হয়। চিঠিতে ১৫ জন প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু ডাক্তারদের ৩২ জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সরকার সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি না দেওয়ায় বৈঠক ব্যর্থ হয় এবং দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও কোন সমাধান হয়নি।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর, মমতা সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন যে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত, কিন্তু কিছু মানুষ বিচার চাইছেন না, শুধুমাত্র ক্ষমতার চেয়ার চাইছেন। বাংলার মানুষের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। এর পর, জুনিয়র ডাক্তাররা আবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ফিরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা করেন।