ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :রাতের পর সকাল এসেছে, আর সকাল গড়িয়ে দুপুর। এখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে আছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতভর বৃষ্টি আর দিনে তীব্র রোদ— কিছুই তাঁদের আন্দোলন থামাতে পারেনি। মঙ্গলবার রাত থেকেই সাধারণ মানুষেরাও আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেউ শুকনো খাবার, জল পৌঁছে দিয়েছেন, কেউ মাথা গোঁজার ছাউনির ব্যবস্থা করেছেন। এভাবেই চলেছে আন্দোলন। সকাল হতে না হতেই সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। ডাক্তারদের সঙ্গে একযোগে দাবি আদায়ে নেমেছেন তাঁরা। দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত, একজনও সরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মিঠুন চক্রবর্তীর পথে নামার ঘোষণা
ছ’দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান
মঙ্গলবার দুপুর থেকে ছ’দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস থেকে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়েছেন অবস্থান মঞ্চে। আন্দোলনকারীদের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসের শৌচাগারও খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জোকার আবাসনের বাসিন্দারা ‘তিলোত্তমা ফান্ড’ তৈরি করেছেন। আবাসিক রঞ্জনা বসু জানিয়েছেন, আবাসিকেরা সাধ্যমতো টাকা দিয়েছেন, যার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের সকালের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে শুকনো খাবার এবং জলের বোতলও পৌঁছেছে। অস্থায়ী বায়ো টয়লেটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তেজপাতা ভিজানো জল খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী?আপনি কি জানেন
রাতের বৃষ্টিতে চিকিৎসকরা মাথা গোঁজার ছাউনি না থাকায় ভিজতে হয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষের সহায়তায় সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। অনেকেই ত্রিপল এনে দিয়েছেন এবং সকালের খাবার পৌঁছে দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরাও। উৎসাহের কোনো অভাব নেই— সকলেই সোচ্চারভাবে বলছেন, ‘‘লড়াই চালিয়ে যান! আমরা আপনার পাশে আছি।’’
এই বিপুল সমর্থন ও সাহায্য পেয়ে আপ্লুত ডাক্তাররাও। একজন আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষকে জনসাধারণ বলছি না। বলছি ‘জন-অসাধারণ’! তাঁদের সমর্থন ছাড়া আমাদের আন্দোলন ব্যর্থ হত। এই আন্দোলন শুধুমাত্র ডাক্তারদের নয়, সাধারণ মানুষেরও।’’ অন্য একজন আন্দোলনকারী কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘‘এখনও বহু মানুষ বাড়ি থেকে খাবার ও জল নিয়ে আসছেন। তাঁদের এই সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’’