ব্যুরো নিউজ,১০ ডিসেম্বর:বর্ষীয়ান কবি জয় গোস্বামী জানিয়েছেন আর কোনওদিন জনসমক্ষে প্রকাশ পাবে না তার লেখা। নিজের ৫০ বছরের সাহিত্যজীবনের পাঠ চুকিয়ে অবসর নিয়েছেন তিনি। যদিও ঘরে বসে লিখছেন, সেই লেখা থাকবে শুধুই তার নিজের কাছে। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে মনের ঝাঁপি খুলে বললেন তিনি।
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য শিলিগুড়ির হোটেলের দরজা বন্ধঃ ভরা মরসুমে কঠোর সিদ্ধান্ত
কবিতার প্রতি আত্মসমালোচনা
৭১ বছর বয়সী জয় গোস্বামী বলেন ‘আমি ৫০ বছর লিখেছি, কিন্তু লিখতে পারিনি। আমার লেখনীর বহিরঙ্গ হয়ত অনেককে ছুঁয়েছে, কিন্তু গভীরে কেউ প্রবেশ করেনি। আমি নিজেকে ব্যর্থ মনে করি।’ তার মতে কবিতা অন্তরের গভীর সুর স্পর্শ করলেও সেটি উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারেনি।লেখার পাশাপাশি সংসার চালানোর লড়াইয়ের কথাও জানান তিনি। বলেন ‘লেখা ছিল আমার জীবিকা। এখন উপার্জন কমেছে। আমার স্ত্রী হোম ডেলিভারি করে সংসার চালাচ্ছেন।’ তবে কবি এখন একা ঘরে বসে লিখে চলেছেন, যা আর কেউ দেখবে না বা পড়বে না। ‘কবিতা প্রকাশের ৫০ বছরে’ নামক একটি পুস্তিকায় নিজের লেখা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন জয়। তিনি বলেন “নিজের ব্যর্থতাকে স্বীকার করাই শ্রেয়। আমি পারিনি, এটা মেনে নেওয়াই ভালো।”
আরবিআইয়ের নতুন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা
লেখা ছাড়ার সিদ্ধান্তে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিস্পৃহতা তাকে হতবাক করেছে। তবে এক প্রকাশক চোখের জল নিয়ে এসেছিলেন, যা তাকে শান্তি দিয়েছে। জয় বলেন, “কেউ ফোন করেনি, তাতেই বুঝেছি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক। এখন এই অবসরে আমি একধরনের স্বাধীনতা ও শান্তি অনুভব করি।” পনেরোটি পূর্ণাঙ্গ কবিতাগ্রন্থের স্রষ্টা জয় গোস্বামী আজ নিজের লেখা নিয়ে বেছে নিয়েছেন নিঃসঙ্গতার পথ। তার মতে, কবিতা তখনই প্রকৃত হয় যখন সেটি অন্তর থেকে উৎসারিত হয়। জনতার জন্য লেখার চাপ থেকে মুক্ত হয়ে তিনি খুঁজছেন আত্ম-অনুসন্ধানের আনন্দ।