ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:জিঙ্গল বেলস গানটি আজ ক্রিসমাসের উৎসবের সঙ্গে একাত্ম, তবে এর ইতিহাস অত্যন্ত চমকপ্রদ। আনন্দদায়ক এই সুর এবং লিরিক্সে বরফ ঢাকা প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং স্লেই রাইডের উত্তেজনা ফুটে ওঠে। যদিও এটি বর্তমানের একটি ক্রিসমাস ক্লাসিক কিন্তু এর সূচনা হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে।
২০২৫ সালে গুরু পুষ্য যোগ কবে? জানুন শুভ সময় ও এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব
গানের সূচনা ও ইতিহাস
১৮৫৭ সালে, আমেরিকান সংগীতজ্ঞ জেমস লর্ড পিয়ারপন্ট “জিঙ্গল বেলস” রচনা করেন। গানটির মূল নাম ছিল “ওয়ান হর্স ওপেন স্লেই”, যা প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল জর্জিয়ার সাভান্নায়। এটি মূলত ক্রিসমাসের জন্য নয়, বরং শীতকালীন স্লেই রেসিং-এর উদযাপন হিসেবে লেখা হয়েছিল। “জিঙ্গল” শব্দটি ঘণ্টার আওয়াজ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।প্রাথমিকভাবে, গানটি থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে গাওয়া হতো। তবে সময়ের সঙ্গে এটি ক্রিসমাসের সঙ্গে জড়িয়ে যায়, কারণ এর সুর এবং লিরিক্স বরফে ঢাকা উৎসবমুখর দৃশ্যের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই।
ক্রিসমাসের গান হয়ে ওঠা
যদিও এটি শীতকালীন আনন্দ উদযাপনের গান, সময়ের সঙ্গে ক্রিসমাসের সঙ্গে এর গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়। গানটির লিরিক্সে বর্ণিত স্লেই রাইড এবং ঘণ্টার শব্দ ক্রিসমাসের উত্সবমুখর পরিবেশের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।১৯ শতকের শেষ দিকে এবং ২০শ শতকের শুরুতে এটি ক্রিসমাস গানের ধাঁচে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে এটি ছুটির মরসুমের সবচেয়ে প্রিয় গান।
২০২৫ সালে শনির শুভ প্রভাব কোন কোন রাশির জন্য জানুন
সঙ্গীত ও জনপ্রিয়তা
গানটির সুর প্রাণবন্ত এবং সহজ। ৪/৪ টাইম সিগনেচারে রচিত এই গানটি মেজর স্কেলে বাজানো হয়। ঘণ্টার ব্যবহার গানটির উত্সবমুখরতা বাড়িয়ে তুলেছে।বিশ্বব্যাপী শিল্পীরা বিভিন্ন শৈলীতে গানটি পরিবেশন করেছেন। বিং ক্রসবি, ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, এবং দ্য বিটলস-এর মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা এর নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছেন। এই গানটি বিভিন্ন ক্রিসমাস সিনেমা এবং টেলিভিশন প্রোগ্রামেও স্থান পেয়েছে।
বাস্তু অনুযায়ী বাড়িতে টাকা কোন দিকে রাখা শুভ জানেন? আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য সঠিক দিক জানুন
মহাকাশে জিঙ্গল বেলস
জিঙ্গল বেলস মহাকাশে প্রচারিত প্রথম গান হিসেবে ইতিহাস গড়েছে। ১৯৬৫ সালে, মহাকাশচারীরা এটি বাজান। আজও, জিঙ্গল বেলস ক্রিসমাস উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর আনন্দমুখর সুর ও লিরিক্স ছুটির মরসুমে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়। আগামী দিনেও এটি ছুটির সঙ্গী হয়ে থাকবে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও এর আবেদন অটুট থাকবে।