ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর :৪১ বছর বয়সে ধনকুবের জেয়ার্ড আইজ়্যাকম্যান, যিনি অপেশাদার নভোচারী হিসেবে মহাকাশে পদচারণার ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন, সেটি এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। স্পেসএক্সের ‘পোলারিস ডন’ মিশনের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক নভোচারী হিসেবে মহাকাশে পা রেখেছেন। এই মিশনে অংশ নিয়ে তিনি ইতিহাস গড়েছেন, তার সঙ্গে গেছেন অন্যান্য মহাকাশচারীরা ।
স্পিডবোট উল্টে বিপত্তি লাভপুরে, ১২ জন আধিকারিক পড়লেন জলে
মহাকাশ অভিযান জেয়ার্ড
নিউ জার্সির বাসিন্দা আইজ়্যাকম্যান, যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে আর্থিক লেনদেনের সংস্থা ‘শিফ্ট৪’ প্রতিষ্ঠা করেন, তার যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি ছোট ঘর থেকে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য দাঁড়িয়ে ৬ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকায়। মহাকাশে যাওয়ার খরচ বিপুল, স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে একটি আসনের দাম প্রায় ৪৬১ কোটি টাকা।
মিনাখায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার দুই , উদ্ধার হল নগদ টাকা ও মোবাইল
২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, কেপ কার্নিভাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ড্রাগন ক্যাপসুল, যা মহাকাশে পাঁচ দিনের সফল যাত্রা শেষে ফ্লোরিডার ড্রাই টর্তুগাসে অবতরণ করে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন আইজ়্যাকম্যান ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার সারাহ গিলিস, পাইলট স্কট পোটিট এবং আনা মেনন।
মহাকাশে পদচারণার জন্য আইজ়্যাকম্যান এবং সারাহ নতুন ধরনের বিশেষ স্পেস স্যুট পরে গিয়েছিলেন এবং তারা ১০-১৫ মিনিটের জন্য মহাকাশযানের বাইরে বের হন। এই অভিযানটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক মহাকাশ অনুসন্ধানের সম্ভাবনাও উন্মোচন করেছে।
এক দেশ, এক নির্বাচন, নতুন যুগের সূচনা
আইজ়্যাকম্যান মহাকাশের যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মাত্র ৫ বছর বয়সে। মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার জন্য ৪০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয় জেয়ার্ডের ওপর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল স্টারলিঙ্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীতে সরাসরি ভিডিও সংযোগ স্থাপন।মহাকাশ ভ্রমণের আগে আইজ়্যাকম্যান জানিয়েছিলেন, একসময় পিৎজ়ার খরচ মেটাতে নিজের বাড়ির নিচে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজ সেই ব্যবসা একটি ‘সাম্রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে, যা তার স্বপ্নের পথে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।