japan-asian-nato-proposal

ব্যুরো নিউজ,৩০ সেপ্টেম্বর:জাপান বর্তমানে এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘এশিয়ান নেটো’ নামে একটি নতুন জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে চিনের ক্রমবর্ধমান দাদাগিরি, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তার করছে। বিভিন্ন সময় চিনের যুদ্ধজাহাজ ও সামরিক কার্যকলাপ জাপান এবং তাইওয়ানের আশপাশে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।জাপানের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা সম্প্রতি এই ‘এশিয়ান নেটো’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে তিনি আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাকে দলের নেতা নির্বাচিত করেছে। ইশিবার দাবি, এশিয়ান নেটো গঠিত হলে তা চিনের আগ্রাসী মনোভাব রোধে সাহায্য করবে এবং প্রশান্ত মহাসাগরে বেজিংয়ের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করবে।

আরজি কর মামলার শুনানিঃ সুপ্রিম কোর্টে সময় পিছিয়ে দুপুর ২টোয়

আমেরিকাকে যুক্ত করার চেষ্টা

জাপান এই নতুন জোটে আমেরিকাকে যুক্ত করতে চায়। যদি ওয়াশিংটন টোকিয়োর প্রস্তাবে সম্মতি দেয়, তাহলে আমেরিকা তাদের সেনাবাহিনীকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করতে সক্ষম হবে। তবে বিষয়টি আমেরিকার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের কূটনৈতিক নীতির সঙ্গে এটি মিলে যাবজেটহাডসন ইনস্টিটিউটে দেওয়া একটি বক্তৃতায় ইশিবা ‘এশিয়ান নেটো’ এর পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রজোটের অভাব রয়েছে, যেটা যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। আক্রমণকারী রাষ্ট্রগুলো জানে যে আক্রান্ত রাষ্ট্রগুলোর জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।তবে, আমেরিকা এই উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমেরিকার পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী বিদেশমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেছেন, টোকিয়ো এই বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে। যদিও জাপানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী ইশিবা তার অবস্থানে দৃঢ় রয়েছেন এবং বলেছেন, আমেরিকার শক্তি কমছে, তাই ‘এশিয়ান নেটো’ গঠন ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।জাপানের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা জাপানকে পরাজিত করেছিল এবং এরপর থেকে টোকিওর নিরাপত্তা আমেরিকার হাতে ছিল। তবে বর্তমানে চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কার্যকলাপ পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ২০২২ সালে জাপান আমেরিকার কাছে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের আর্জি জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর থেকে জাপান বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে নতুন তথ্য

জাপান এই ‘এশিয়ান নেটো’ গঠনে প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে। পরবর্তীতে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই জোটের মাধ্যমে টোকিয়ো ভারত, আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সাহায্য পেতে পারবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন জোট তৈরি হলে জাপান আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য হারাতে পারে। তবে এটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন বন্ধু পেতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের নাম রয়েছে।জাপানের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন একটি অধ্যায় খুলতে পারে, যা সারা বিশ্বের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর