জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটারদের উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছ’টি জেলার ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও প্রথম দফার তুলনায় এই হার কিছুটা কম, কারণ প্রথম দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল।
ভোটের হার জেলা অনুযায়ী আলাদা
দ্বিতীয় দফায় ভোটের হার জেলা অনুযায়ী আলাদা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রইসি জেলায়, যেখানে ভোটের হার ৭১.৮১ শতাংশ। অন্যদিকে, শ্রীনগরে ভোট পড়ার হার ছিল মাত্র ২৭.৩১ শতাংশ, যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৫ লক্ষের বেশি, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি ইতিবাচক সঙ্কেত।মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “কাশ্মীরে গণতন্ত্রের উৎসব চলছে এবং ইতিহাস তৈরি হচ্ছে। এমন জায়গায় ভোট হচ্ছে, যেখানে আগে কখনও মানুষ ভোট দেননি। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ সিসি ক্যামেরার নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে, এবং বুথের বাইরে লম্বা লাইন পড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “ভোট দিতে উৎসাহী মানুষজন ভিড় করছেন। গণতন্ত্র এভাবেই জিতে যাচ্ছে।”এই নির্বাচনে কাশ্মীরের ১৫টি এবং জম্মুর ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ওমর আবদুল্লা-সহ মোট ২৩৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে এই ভোটের মাধ্যমে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপির প্রধান রবীন্দ্র রায়না, কংগ্রেসের প্রধান তারিক হামিদ কাড়রা, এবং জম্মু ও কাশ্মীর আপনি পার্টির প্রধান আলতাফ বুখারি।
উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশঃ নতুন আশা
এটি এক দশকের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফার ভোট হয় ১৮ সেপ্টেম্বর, যেখানে মোট ৯০টি আসনের ভোট নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ আগামী ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে, এবং ভোটের ফলাফল জানা যাবে ৮ অক্টোবর।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষজনের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবি আদায়ের সুযোগ বাড়ছে।