ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:২৬ নভেম্বর গভীর রাত পর্যন্ত ইজরায়েলি ক্যাবিনেটে আমেরিকা ও ফ্রান্সের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলেছিল।সেই আলোচনায় ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ক্যাবিনেটের সামনে পেশ করেন, এবং পরে তা গ্রহণ করা হয়। নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। তিনি সাংবাদিকদের সামনে জানান, যুদ্ধবিরতি ২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হবে।
৩৭০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের ধর্মগুরুদের উদ্বেগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, ‘আজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে একটি ভালো খবর দিতে চাই। লেবানন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, এবং আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে তারা ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে বিধ্বংসী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে দুই পক্ষ।’ গত বছর অক্টোবর মাসে গাজার জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলে হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইজরায়েল গাজায় আক্রমণ করে। এরপর থেকেই হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইজরায়েলের উপর হামলা চালাতে থাকে। এই সংঘর্ষে ইজরায়েলের ৮২ সেনা ও ৪৭ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে, অন্যদিকে লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরুল্লাহসহ ৩৭০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছে।
ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের টানাপোড়েন?
অপরদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর নেতানিয়াহু সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, যদি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করা হয়, তবে ইজরায়েল তার সব শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হামাসকে শেষ করব, বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনব এবং গাজা যাতে আর ইজরায়েলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়, তা নিশ্চিত করব।’ নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন: প্রথমত, ইরান থেকে আসতে চলা সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি, দ্বিতীয়ত, ক্লান্ত ইজরায়েলি সেনাদের পুনরুজ্জীবিত করা এবং তৃতীয়ত, হামাসের সহযোগীদের বিচ্ছিন্ন করা। তিনি জানান, ‘যতক্ষণ না গাজা আর ইজরায়েলের জন্য হুমকি তৈরি করে, ততক্ষণ যুদ্ধ থামবে না।’