ব্যুরো নিউজ,১৭ নভেম্বর:গত মাসে ইরানের পরমাণু অস্ত্র কেন্দ্রের ওপর হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। যদিও সে সময় ইরান এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বা ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র গবেষণাগার, যার কথা আগে কেউ জানতই না, সেটি ধ্বংস করেছে ইজ়রায়েল। সম্প্রতি কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রে দেখা গেছে সেই গোপন স্থানের ধ্বংসাবশেষ।
তারকাখচিত ছবি মানেই সাফল্য নয়ঃ বক্স অফিসে ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করলেন বিদ্যা বালন
বিস্ফোরণের প্রক্রিয়া বন্ধ
ইজ়রায়েলের হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারচিন মিলিটারি কমপ্লেক্সের ‘টেলেগান ২’ কেন্দ্র। এতদিন এই কেন্দ্রটিকে নিষ্ক্রিয় বলে মনে করা হত। তবে এই হামলায় ইরানের পরমাণু অস্ত্র গবেষণা কার্যক্রম একপ্রকার থমকে গিয়েছে। গত বছর থেকে গোপনে এই কেন্দ্রে পরমাণু অস্ত্র তৈরির গবেষণা শুরু হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।ইজ়রায়েলের হামলায় এই গবেষণাগারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হামলায় যে যন্ত্রটি ধ্বংস করা হয়েছে, তা পরমাণু অস্ত্রের প্লাস্টিকের অংশ তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো, যা ইউরেনিয়ামের অংশকে ঘিরে রাখত। এই প্লাস্টিক অংশটি বিস্ফোরকের ‘ডিটোনেটর’ হিসেবে কাজ করত, এবং যন্ত্রটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
কসবায় শুটআউট কাণ্ডঃ তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে ফোনে সমর্থনের বার্তা মমতা-অভিষেকের
এদিকে, ইরান এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে পরমাণু অস্ত্রের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন, এবং বলেছেন, ‘ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার পেছনে ছুটছে না, তবে ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা ভিন্ন গল্প বলছে।’ তবে, সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ইরানের ‘টেলেগান ২’ কেন্দ্রটি ছিল ইরানের আমাদ পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের অংশ, যা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি গোপনে নতুন করে এই কেন্দ্রটিতে গবেষণা শুরু হয়েছিল। আমেরিকা ইজ়রায়েলকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু ইরান সে সতর্কতা উপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ।কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়া দৃশ্য অনুযায়ী, ‘টেলেগান ২’ কেন্দ্রটি এখন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।