ব্যুরো নিউজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যেই লড়াই ছিল মাতৃভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার। বিশ্বের দরবারে তাকে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস।
কেন আমরা ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রুপে পালন করি?
মাতৃভাষাকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছিল ইতিহাস। বাংলার ইতিহাসে আন্দোলনকারী এই দিনটি প্রথমে শহীদ দিবস হিসেবে পালন হত। ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট রাষ্ট্রসংঘ সিদ্ধান্ত নেয় যে একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতেই পূর্ববঙ্গের মানুষের এই লড়াইকে সন্মান জানাতে আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা প্রাঙ্গণের শহীদ বেদীতে শহীদ দিবস পালিত হয়। তবে যে শুধু বাংলাদেশেই মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়, এমনটা নয়। ভারতবর্ষেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এমনকি কলকাতার শহিদ মিনারে পালিত হয় এই দিনটি।
তবে এবার একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে গান বাঁধলো বীরভূমের শিল্পীরা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেই প্রকাশিত হবে “একুশে জয়গান”। আজকের দিনে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার দৌরাত্ম্যে অনেকটাই ব্যাকফুটে বাংলাভাষা। বাংলার মাটিতে দাড়িয়ে বাংলাভাষী হয়েও অনর্থক অনর্গল হিন্দী বা ইংরেজি ভাষায় কথা বলার ছবিটা আমাদের কাছে আজ আর নতুন নয়। আমরা সর্বত্রই দেখেছি বাংলার বদলে হিন্দী কিংবা ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দিতে। তাই আজকের দিনে নয়া প্রজন্মের শিল্পীদের সুরে বাংলা ভাষা দিবসের গান নিঃসন্দেহে এ বাংলা ভাষারই প্রসার। ইভিএম নিউজ