ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত। দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল জানান, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর উদ্বেগ আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি মাস্কাটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের।
‘নিমজ্জিত পৃথিবী’ আবিষ্কার, পৃথিবীর গভীরে হারানো ভূত্বকের রহস্য
জয়শঙ্করকে অনুরোধ
সেখানে বাংলাদেশ সার্ককে চাঙ্গা করতে জয়শঙ্করকে অনুরোধ জানিয়েছিল।এ বিষয়ে জায়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের তরফ থেকে সার্কের প্রসঙ্গ উঠেছিল জয়শঙ্করের কাছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে, কোন দেশ এবং তাদের কার্যকলাপ সার্ককে স্থগিত রেখেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশকে পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন না দেয়।”২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিবিরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর সার্ক সম্মেলন আর এগোয়নি।
ওই হামলার দায় পাকিস্তানের উপর চাপিয়ে ভারত তখন বলেছিল, সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।গত কালই দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে ভারতের বিজিপি-র ডিজি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসের বিষয়টি মিডিয়ার বানানো এবং অতিরঞ্জিত। তিনি বলেন, দুর্গাপুজোতেও যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জায়সওয়াল জানান, বিষয়টি সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগ যথেষ্ট।
কাশ প্যাটেল হলেন এফবিআইয়ের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডিরেক্টর, শপথ নিলেন ভগবত গীতার ওপর হাত রেখে
তিনি বলেন, “আমরা জানি, গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরেও এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।”বাংলাদেশের কিছু উপদেষ্টার ভারত-বিরোধী মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জায়সওয়াল জানান, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে কোনো উপকারে আসবে না। তাদের এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া তাদেরই ভাবতে হবে।”