ব্যুরো নিউজ, ২০সেপ্টেম্বর :ভারতে তেল রফতানিকারক দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। দেশের তেল চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এই পরিস্থিতিতে, রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত, বিশেষ করে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়াতে। রাশিয়া কম দামে তেল বিক্রি শুরু করলে ভারত সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়।
সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি বড়নগরকে, খুশি মমতার
রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে ভারত
নয়াদিল্লি, পশ্চিম এশিয়া এবং ওপেক দেশগুলির থেকে তেল কেনা কমিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়াতে শুরু করে। তবে, আড়াই বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিপদ বেড়ে গেছে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির জন্য। সূত্রের খবর, রুশ তেল সংস্থায় আটকে রয়েছে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলির প্রায় ৭,৫২৫ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি চাপের মধ্যে রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক সংকটের নতুন অধ্যায়
ভারতের চারটি প্রধান তেল সংস্থা—ওএনজিসি, অয়েল ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন—রাশিয়ার চারটি জ্বালানি প্রকল্পে অংশীদার। বিশেষ করে, ওএনজিসি বিদেশ পশ্চিম সাইবেরিয়ার ভ্যাঙ্করনেফ্ট তেল প্রকল্পে ২৬% অংশীদারি ধারণ করছে। কিন্তু ২০২২ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে মস্কোর উপর আর্থিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার লভ্যাংশ রুবলে জমা হচ্ছে, যা ভারতীয় তেল সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি রাশিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও স্থায়ী সমাধান বের হয়নি। নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সরকারি স্তরে আলোচনা হলেও তেমন কোনও লাভ হয়নি। ইউক্রেনের যুদ্ধের পর রাশিয়ার প্রথম সারির ব্যাংকগুলি আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনে বাধার সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে লভ্যাংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
উৎসবের রঙে রূপমের নতুন গান ‘নৌকা বিলাসী’
ভারতীয় তেল সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন, রাশিয়ার তেল প্রকল্পে আটকে থাকা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তারা প্রস্তাব দিচ্ছেন, রাশিয়ার ব্যাংকে জমা থাকা টাকা ফেরত না এলে সেই প্রকল্পগুলিতে পুনর্বিনিয়োগ করা হতে পারে। যদিও বর্তমান প্রকল্পগুলিতে নতুন মূলধন বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেই।
এছাড়া, ওএনজিসি বিদেশ শাখালিন প্রকল্পের অংশীদার হলেও সেখানে পুনরায় বিনিয়োগের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। ভারতের তেল আমদানিতে রাশিয়ার বিশেষ ছাড়ও কাজ করেছে। গত অর্থবর্ষে ভারত প্রতি দিন ৪৭ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যার ৩৫ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে।
পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমালেও ভারত এখনও রাশিয়ার তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।