ব্যুরো নিউজ,২৩ ফেব্রুয়ারি :দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তখন অদ্ভুত নীরবতা বিরাজ করছিল। মাঠ কর্মীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে, যেখানে পিচটি চূড়ান্ত রূপ পেতে চলেছে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো ছিল শুনশান, আর আশপাশের রাস্তাগুলোও প্রায় ফাঁকা। দুবাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত কোনো বিশেষ উত্তেজনা দেখা যায়নি। তবে, যখন ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হবে, তখন সেই উত্তেজনা আকাশচুম্বী হয়ে উঠবে। এই ম্যাচটি শুধু একটি সাধারণ ম্যাচ নয়, বরং ক্রিকেটের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত দ্বৈরথ।স্টেডিয়ামের নীল আসনগুলো দর্শকরা পূর্ণ করে ফেলবেন। টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে সম্পূর্ণ, এবং স্থানীয় গ্রুপগুলোর মধ্যে রিসেলিংয়ের ধুম লেগেছে। কিছু মানুষ আসল দামের চার গুণ বেশি দিয়ে টিকিট কিনতে প্রস্তুত। কারণ এটা ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ!
পাকিস্তান বনাম ভারত ম্যাচে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন পাকিস্তান, টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই আজ
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে কোন দল?
ভারতীয় দল স্পষ্টভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে, কারণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের শেষ পরাজয় ছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এরপর থেকে তারা ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতেছে, একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত একটি ম্যাচ। কিন্তু চাপ যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, সেটাও মনে রাখতে হবে।ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক শুভমন গিলও জানালেন, যে দল চাপ ভালোভাবে সামলাতে পারবে, সেই দলই জয়ী হবে। তিনি ম্যাচটিকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই নিচ্ছেন। তবে তার শরীরী ভাষা কিছুটা নিস্তেজ থাকায়, তা কিছুটা উত্তেজনা প্রশমিত করেছে। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘এটা কি সবচেয়ে বড় ম্যাচ?’ তিনি এরকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
শুভমন গিল বলেন, “প্রথমত, আমি বলব এটি একটি বড় ম্যাচ, তবে দলের জন্য সবচেয়ে বড় ম্যাচ হবে ফাইনাল। পাকিস্তান একটি ভালো দল, এবং আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের সেরা খেলা উপস্থাপন করা।”অন্যদিকে, পাকিস্তানের কোচ আকিব জাভেদ, যিনি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তিনি মনে করেন, চাপই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বিশেষ করে তোলে। তার মতে, আবেগ ও চাপ খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনে। তিনি বলেন, “এই ম্যাচের সৌন্দর্য এখানেই, কারণ কেউ জানে না কী ঘটবে। খেলোয়াড়দের জন্য চাপ নেওয়াটাই মূল কাজ। যদি চাপ না থাকে, তাহলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আকর্ষণই থাকবে না।”
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চাপের আগে কি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ভারতের সহঅধিনায়ক শুভমন গিলের?
পাকিস্তানের ওপর চাপ অনেক বেশি, আর এই চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, দলের প্রধান লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়, তবে ভারতকে হারানোও অন্যতম লক্ষ্য। তবে, পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেছে, তাই ভারতের বিরুদ্ধে জয় না পেলে তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়তে পারে।যখন টস হবে, স্টেডিয়াম গগনবিদারী উল্লাসে মাতবে, তখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে চাপ সামলানোর দক্ষতার ওপর। দুই দলই জানে, চাপের মাঝে সবচেয়ে সেরা দলই জয়ী হবে।