ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। এক সময় পাকিস্তান ভারতকে এক দিনের ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও বর্তমানে সেই দাপট অনেকটাই কমে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ৬টি এক দিনের ম্যাচে ভারত পাঁচটি জয় পেয়েছে এবং একটি ম্যাচে ফলাফল হয়নি। পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষে শেষ জয় পেয়েছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। তবে পাকিস্তান বর্তমানে কিছুটা চাপে রয়েছে, কারণ তারা প্রথম ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে হেরেছে। আর এই ম্যাচে প্রত্যেকের নজর থাকবে কিছু বিশেষ দ্বৈরথের উপর। আসুন, দেখে নিই কী কী গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈরথ হতে পারে এই ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই কি রোহিত এবং কোহলির শেষ আইসিসি প্রতিযোগিতা? কুম্বলের মন্তব্য কি?
গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈরথ
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই দ্বৈরথ সকলের নজর কাড়ে। রোহিত শর্মা বাঁ হাতি বোলারের বিরুদ্ধে কিছুটা দুর্বল হলেও, শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে তার খেলার অভিজ্ঞতা তাকে সাহায্য করতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রোহিত শাহিনের বিরুদ্ধে ৫৬ বল খেলে ৪৮ রান করেছেন এবং আফ্রিদি তাকে দু’বার আউট করেছেন। তবে রোহিত যে খুব আতঙ্কিত থাকবেন এমন ভাবার কারণ নেই। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি শাহিনের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে রোহিত কিছুটা পিছিয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু সেই ম্যাচে উত্তেজনা একদম তুঙ্গে থাকবে।
দু’জনেই তরুণ এবং দ্রুত বল করার দক্ষতা সম্পন্ন, কিন্তু বর্তমানে শুভমন গিলের ফর্ম অনেক উন্নত। তিনি এক দিনের ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে শতরান করেছেন। অন্যদিকে, নাসিম শাহের গতিও কিছুটা কমেছে এবং তিনি পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য নন। তবে রোববারের ম্যাচে তিনি প্রথম বল করার সুযোগ পেতে পারেন। শুভমন গিল এখনও পর্যন্ত নাসিমের বিরুদ্ধে একবারও আউট হননি, তাই তার জন্য এই দ্বৈরথে ফেভারিট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মহম্মদ শামির দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগুনে বোলিং
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যারিস রউফকে কোহলির ছক্কা মারার দৃশ্য এখনো সকলের মনে তাজা। তবে এক দিনের ক্রিকেটে রউফের বিরুদ্ধে কোহলির ফর্ম খুব একটা ভালো নয়। মাত্র পাঁচ বল খেলে কোহলি দু’টি রান করেছেন। রউফ অবশ্য কোহলির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইবেন। তবে কোহলি নিজের ফর্ম ফিরে পেতে এই ম্যাচটিকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রউফকে তার সেরাটা দিতে হবে যেন কোহলির রানের গতি বন্ধ করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের পরাজয়, ১০৭ রানে হেরেছে রশিদ খানের দল
মহম্মদ শামি এখনও পর্যন্ত এক দিনের ক্রিকেটে বাবর আজমকে বল করেননি। তবে রবিবার তাদের মধ্যে এই দ্বৈরথ হতে চলেছে। শামি নতুন বলে শুরু করবেন এবং বাবর ওপেন করবেন। শামি তার ফর্মে ফিরে আসার পর গত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, আর বাবর তাঁর গতির সাথে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। তিনি ধীর গতিতে খেলে সমালোচিত হলেও, এই ম্যাচে নিজের শক্তি প্রমাণের সুযোগ পেতে পারেন।
মাঝের ওভারে গুরুত্বপূর্ণ বোলিং করেন রবীন্দ্র জাডেজা, যিনি রান আটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট কার্যকরী। পাকিস্তানের সলমন আলি আঘাও সেই কাজের জন্য দায়বদ্ধ, তবে তার ব্যাটিংয়ে গতির অভাব ছিল। দুই দলের জন্য এই দ্বৈরথটি গুরুত্বপূৰ্ণ হতে চলেছে, তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে জাডেজা এগিয়ে থাকবেন।এই সব দ্বৈরথই রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ এবং স্মরণীয় করে তুলবে।