ব্যুরো নিউজ, ১২ এপ্রিল: গত নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন মহম্মদ মুইজ্জু। প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল মুইজ্জু চীনাপন্থী। আর এরপর থেকেই শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত। প্রথমে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা হাঁটানোর বার্তা দেয়। এমনকি ভারতীয় সেনা সরানর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলো মালদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে শোনা যায় ওই দেশের তিন মন্ত্রিকে।
এ রাজ্য থেকে NIA-র হাতে গ্রেফতার বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ মাস্টারমাইন্ড
এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় দের মাটি ছাড়াও করে মইজ্জুর সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশে অবৈধ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ তুলে ৪৩ জন ভারতীয় নাগরিককে মলদ্বীপ থেকে বেড় করে দেয় মলদ্বীপের মুইজ্জুর সরকার।
বিনা কারণে ভারতের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে সংঘাত চালালে। ভারতও মুখ ফিরিয়ে নেয় মলদ্বীপের থেকে। আর ভারত মুখ ফেরাতেই মুখ থুবরে পড়ে সেদেশের পর্যটন শিল্প। এমনকি নামি-দামি ব্যক্তিত্ব, ফ্লিমস্টার, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সকলেই সেদেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে। আর তাতেই জোর ধাক্কা খায় সেদেশের অর্থনীতি। মূলত এই দেশের অর্থনীতির শিরদ্বারা হল পর্যটন শিল্প। আর তাতেই জোর ধাক্কা দেয় ভারত। শুধু তাই নয়, একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হয় মালদ্বীপ। পর্যটন, শিক্ষার পর এবার মালদ্বীপে তীব্র জলকষ্টও দেখা যায়।
কিন্তু সে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে মরিয়া মালদ্বীপ অ্যাশোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্ট এন্ড ট্যুর অপারেটর। তাই এবার ভারতের কাছেই সাহায্য ‘ভিক্ষা’ মালদ্বীপের।
ভারতীয় পর্যটকদের ফেরাতে ভারতেরই বিভিন্ন শহরে রোড শো করার ঘোষণা করে মালদ্বীপ অ্যাশোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্ট এন্ড ট্যুর অপারেটর। মালদ্বীপ অ্যাশোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্ট এন্ড ট্যুর অপারেটরস ভারতের হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকও করে। দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ব্যবস্থায় যাতে পারস্পরিক সহযোগিতা করা হয়, তারই অনুরোধ জানিয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন সংস্থাগুলি।