ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মহড়া নিতে ফাইটার জেটের পাশাপাশি সামরিক পরিবহণ বিমানেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের বায়ুসেনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে, আমেরিকার বিমান নির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিন এবং টাটা শিল্পগোষ্ঠী যৌথভাবে দেশে একটি নতুন কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। এই কারখানাটি বিশেষভাবে সি-১৩০ সুপার হারকিউলিস পরিবহণ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য ব্যবহৃত হবে।
বহরাইচে নেকড়ের তাণ্ডব: এখনও মুক্ত ষষ্ঠ নেকড়ে, আতঙ্ক কাটেনি
‘‘লকহিড মার্টিনের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।’’
লকহিড মার্টিন, যেটি যুদ্ধবিমান নির্মাণে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় সংস্থা, বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের ‘এফ সিরিজের’ যুদ্ধবিমান তৈরি করে থাকে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির সুযোগ খোলার পর, ভারতীয় মাটিতে বিমান নির্মাণ, মেরামত এবং আধুনিকীকরণের জন্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প শুরু হচ্ছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য নতুন একটি সুবিধা ভারতীয় মাটিতে তৈরি হতে চলেছে।
রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট: পুজোর বাজারে কী প্রভাব পড়তে পারে?
বর্তমানে, সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য লকহিড মার্টিন বিশ্বজুড়ে ২৩টি দেশে ২৭টি মেন্টেন্যান্স-রিপেয়ারিং-ওভারহলিং (এমআরও) কেন্দ্র পরিচালনা করে। তবে, ভারতীয় বাজারে এই সেবা প্রদান করতে গিয়ে, লকহিড মার্টিন টাটা গোষ্ঠীর সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করতে চলেছে।
টাটা গোষ্ঠীর অধীন ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম’-এর সিইও সুকর্ণ সিংহ মন্তব্য করেন, ‘‘লকহিড মার্টিনের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য অধিকাংশ বিমানের যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে, নতুন এমআরও কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে, ভারতের মাটিতেই এসব যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে তা বিদেশেও রফতানি করা যাবে।