ব্যুরো নিউজ,২৩ সেপ্টেম্বর:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে, ভারত তার প্রথম জাতীয় সুরক্ষা সেমিকন্ডাক্টর ফেব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে চলেছে। এই ফ্যাবটি ২০২৫ সালে ভারতে স্থাপন করা হবে এবং এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী, সহযোগী সামরিক বাহিনী এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অত্যাধুনিক চিপ সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের মধ্যে ডেলাওয়্যারে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এই চুক্তি প্রকাশিত হয়।
মাতৃত্বের মাধুর্যে ভরা রিচা চাড্ডার অভিনব ফোটোশুট
নাইট ভিশন, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট
ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, ফ্যাবটি ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকন্ডাক্টর তৈরির লক্ষ্য রাখবে। এই প্রকল্পটি ভারতের সেমিকন্ডাক্টর মিশন এবং থ্রিডিটেকসহ মার্কিন স্পেস ফোর্সের সঙ্গে কৌশলগত প্রযুক্তি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।এটি ভারতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।যেখানে বিনায়ক ডালমিয়া ও বৃন্দা কাপুরের নেতৃত্বে একটি স্টার্ট-আপ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সমর্থন লাভ করেছে। এই স্টার্ট-আপটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকসের সঙ্গে কাজ করছে।শিল্পী এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে, ভারত বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে। তথ্য অনুসারে, এটি বিশ্বের প্রথম ‘মাল্টিচিপ সামরিক ফ্যাব’ হতে চলেছে, যা উন্নত সেন্সিং এবং যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটাবে। এই চিপগুলি বিভিন্ন সামরিক এবং নাগরিক ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেমন নাইট ভিশন, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট।
টলিউডের কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা; গিল্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ভারত সরকার এবং মার্কিন সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে, এই ফ্যাবটি দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। ফ্যাবের মাধ্যমে ৭০০ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে এবং একটি জ্ঞান কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে, যা প্রতি বছর ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে।কার্নেগি ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ কোনার্ক ভান্ডারি বলেন, ‘এই প্রকল্প ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর অবস্থানে নিয়ে যাবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই ফ্যাবটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াবে।’এই চুক্তি কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলির জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।