ব্যুরো নিউজ,১৮ নভেম্বর:নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, গত দশ বছরে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দুটি কলেজ খোলা হলেও, এখনও ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বিপ্লবের প্রয়োজন। তিনি দাবি করেছেন, বর্তমানে ভারতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে আরও ২৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ালে হবে না, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগও নিশ্চিত করতে হবে।
সাইবার প্রতারনায় আসল পুলিশ অফিসারের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ !
একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানান, বর্তমানে ভারতে প্রায় ১২০০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং সেখানে প্রায় চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তবে, এই সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২৯ শতাংশ। তার মতে, ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান বাস্তবতায় অন্তত ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এই কারণে, আগামী দিনে আরও ২৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।তিনি আরও বলেন, ভারতে একটি বিশাল ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, যা ডিজিটাল বিশ্বের বৃহত্তম পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে। এই পরীক্ষাগারে শিক্ষার্থীরা এবং গবেষকরা নানা ধরণের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছেন। এর ফলে, ভারত ডিজিটাল ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বাংলার দুই নেতা মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডেঃ শুভেন্দু-অধীরের রাজনৈতিক প্রচার
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন, এস্তোনিয়া পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, কিন্তু ভারত আজ ১৪০ কোটি মানুষের জন্য একটি ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থা তৈরি করেছে এবং ১২০ কোটি লোকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মাধ্যমে, ভারত ডিজিটাল এবং আর্থিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। তিনি জানান, বর্তমানে ভারতে UPI পদ্ধতিতে বিশ্বের ৪৮ থেকে ৫০ শতাংশ আর্থিক লেনদেন ঘটে। ভারত ডিজিটাল এবং আর্থিক ক্ষেত্রে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।