সোমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ভেঙে পড়া একটি পাকিস্তানি মিরাজ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের দৃশ্যমান প্রমাণ প্রকাশ্যে উপস্থাপন করেছে, যা ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর চলমান সামরিক ঘটনার ধারাবাহিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম X-এ যে ভিডিও প্রমাণ প্রকাশ করেছে, তাতে পাকিস্তানি মিরাজ বিমান বলে শনাক্ত করা একটি ধ্বংসাবশেষ দেখানো হয়েছে—যা মূলত ফরাসি প্রতিরক্ষা প্রস্তুতকারক দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের দ্বারা নির্মিত। “আকাশে শত্রুকে ধ্বংস করো” শিরোনামের এই ক্লিপটি ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড দীর্ঘ, এবং প্রায় ১ মিনিটের সময়ে ধ্বংসাবশেষটি প্রদর্শিত হয়, যেখানে ক্যাপশন লেখা ছিল: “পাকিস্তানি মিরাজ… চূর্ণবিচূর্ণ।”

এই দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর যৌথ ব্রিফিংয়ের পরে, যেখানে সম্প্রতি চার দিনের সংঘর্ষ চলাকালীন পরিচালিত ভারতের সামরিক অভিযানের জন্য ‘অপারেশন সিন্দুর’ কোডনাম ব্যবহার করা হয়। এই ভিডিও প্রকাশিত হয় ঠিক একদিন পর, যখন এয়ার মার্শাল এ.কে. ভার্তি জানিয়েছিলেন যে ভারত সফলভাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) একাধিক উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান ভূপাতিত করেছে, যদিও তিনি প্রথমদিকে নির্দিষ্ট বিমান মডেলের নাম প্রকাশ করেননি।

রবিবার প্রাথমিক ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এয়ার মার্শাল ভার্তি বলেন, “যেমনটা আমি বলেছি, তাদের বিমানগুলো আমাদের সীমান্তের ভেতরে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের কাছে তাদের ধ্বংসাবশেষ নেই, তবে নিঃসন্দেহে আমরা কয়েকটি পাকিস্তানি বিমান নামিয়েছি… আমার কাছে সংখ্যাগুলো আছে এবং আমরা প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠা করছি।”

মিরাজ ভূপাতিত হওয়ার এই নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বিমান পিএএফের আক্রমণাত্মক ক্ষমতার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আগে ভারত ঘোষণা করেছিল যে তারা অপারেশন সিন্দুরের অধীনে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করেছে, তবে এই প্রথমবার কোনো নির্দিষ্ট শত্রু বিমানের ধ্বংসের ফটো বা ভিডিও প্রমাণ প্রকাশ্যে এসেছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফুটেজ প্রকাশের উদ্দেশ্য শুধু জনগণকে তথ্য দেওয়া নয়, বরং পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের সক্ষমতা তুলে ধরা।

যদিও ভারত একের পর এক সামরিক ব্রিফিং ও স্বচ্ছতা উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে, তবুও এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে—এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা, এবং ভবিষ্যতে কি ড্রোন ফুটেজ বা স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করা হবে কি না।

এদিকে পাকিস্তান এখনো তার মিরাজ বহরের ক্ষতির বিষয়টি  স্বীকার করেনি ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর