ব্যুরো নিউজ ৭ আগস্ট ২০২৫ : কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এল. মুরুগান জানিয়েছেন যে, ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি এবং পরিষেবা সহজ করার জন্য ‘ইন্ডিয়া সিনে হাব’ পোর্টালকে একটি সমন্বিত একক-উইন্ডো সিস্টেমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে নির্মাতারা সহজেই বিভিন্ন পরিষেবা পাবেন, যা ভারতে চলচ্চিত্র নির্মাণকে আরও সহজ করবে।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আয়োজিত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তথ্য ও জনসংযোগ (I&PR) সচিবদের একটি উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনে মুরুগান এই মন্তব্য করেন।
কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় এবং চলচ্চিত্র পরিকাঠামো
এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় জোরদার করা, ‘প্রেস সেবা পোর্টাল’ এবং ‘ইন্ডিয়া সিনে হাব’-এর সম্পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, এবং বিভিন্ন অঞ্চলে চলচ্চিত্র পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সহযোগিতামূলক সুযোগ অন্বেষণ করা।
প্রতিমন্ত্রী গ্রামীণ এলাকায় কম খরচে থিয়েটার তৈরির উদ্যোগের কথা বলেন, যা নারী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ঘটাবে। তিনি WAVES 2025 এবং IFFI গোয়ার মতো বৈশ্বিক ইভেন্টগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা ভারতের সৃজনশীল অর্থনীতিকে তুলে ধরে এবং সাংস্কৃতিক কূটনীতিকে উৎসাহিত করে।
বলিউডের পরিচিত মুখ অঙ্কিতা লোখান্ডে ভোরবেলা শুরু হয় এক গ্লাস ‘ম্যাজিক জল’ দিয়ে! কি সেই ‘ম্যাজিক জল’
সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তি খাতে জোর
মুরুগান সম্প্রতি চালু হওয়া ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’ (IICT)-এর ওপর বিশেষ জোর দেন। এই ইনস্টিটিউটটি অ্যানিমেশন, গেমিং, সঙ্গীত এবং অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রে যুবকদের দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে, যা দেশে ‘ক্রিয়েটর ইকোনমি’ বা স্রষ্টা অর্থনীতিকে বাড়াতে ভারত সরকারের প্রচেষ্টার একটি অংশ।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব সঞ্জয় জাজু বলেন, কার্যকর যোগাযোগ এবং মিডিয়া উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতা অপরিহার্য। তিনি ডিজিটাল নির্মাতাদের উত্থান এবং জেলা-স্তরের I&PR পরিকাঠামো শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সকল রাজ্যকে মসৃণ প্রকাশনা প্রক্রিয়ার জন্য ‘প্রেস সেবা পোর্টাল’-এর সাথে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
Mahavatar Narsimha : বক্স অফিসে ঝড় তোলার পর এবার ওটিটিতে মুক্তির অপেক্ষায় নরসিংহ অবতারের কথা !
নতুন চলচ্চিত্র কেন্দ্র এবং লাইভ বিনোদন
সম্মেলনে কম খরচে সিনেমা হল তৈরির বিষয়েও আলোচনা করা হয়। মুরুগান জানান, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চলচ্চিত্র প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও, চলচ্চিত্র পরিকাঠামোর সুবিধা এখনও সর্বত্র সমান নয়। তাই, তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের শহর, গ্রামীণ অঞ্চল এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলোতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য মডিউলার এবং মোবাইল সিনেমা মডেল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এই সম্মেলনে লাইভ বিনোদন শিল্পের উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বিদ্যমান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো ব্যবহার করে অনুষ্ঠান আয়োজন, ‘ইন্ডিয়া সিনে হাব’-এর মাধ্যমে অনুমতি প্রক্রিয়াকে একীভূত করা এবং লাইভ বিনোদন পরিকাঠামোতে বিনিয়োগের জন্য নীতি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়।