ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা তো ছিলই।সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামে প্রিজনভ্যানে তুলে নেওয়ার সময় চিন্ময় প্রভুর অনুগামীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান, পরে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ওই সময় এক আইনজীবী, সইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এই ঘটনার পর বাংলাদেশে হিংসা আরও বাড়ে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তি দাবি শেখ হাসিনার
তাৎপর্যপূর্ণ
এদিকে, বাংলাদেশে ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস) নিষিদ্ধ করার জন্য এক মামলা হলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা উঠেছে। জানা যাচ্ছে, জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানান।
প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ অমীয় কুমার বাগচি
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বাংলাদেশ সরকারকে জানান, সেদেশে হিন্দু ও বাকি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইউনুস সরকারকে। দিল্লির সাফ বার্তা, বাংলাদেশের সরকারের উপরেই সেদেশের নাগরিক, বিশেষত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশেষ করে, হিন্দুদের নিরাপত্তা। এর ফলে, বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে ।এই আবহে, মোদী ও জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।