শর্মিলা চন্দ্র, ৩১ মার্চ: বিরোধীদের পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিয়েই তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু সেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে অনেক। লোকসভা নির্বাচনে বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যে কার্যত জোট হয়নি। বাংলায় তৃণমূল একক ভাবে ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস, সিপিএমও আলাদা আলদাভাবে লড়াই করছে। লোকসভা নির্বাচনে জোট না হলেও জোট যে ভেঙে যাচ্ছে এমনটা নয়। দিল্লি থেকে সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষরা।
পাকিস্তানিদের মুখে ‘ভারত জিন্দাবাদ’ | কী হল এমন হঠাৎ ‘ভুতের মুখে রাম নাম’?
‘ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে’
নির্বাচনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালে গ্রেফতারির প্রতিবাদে দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল বিরোধীরা। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়াররা। সেই সভায় তৃণমূল নেতৃত্বরা জানান, ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে।
উল্লেখ্য, রবিবারই কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে প্রথম নির্বাচনী প্রচার সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট নিয়েও বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি। নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর ওটা দেখে নেব।’ পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের শরিকি দল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘আমরা একলা লড়ছি। আমি শুনেছি সিপিএম, কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের হয়ে লড়ছে বলে বলেছে। আর এখানে তো জোটই হয়নি। এখানে ঘোঁট হয়েছে।’ একদিকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা, অন্যদিকে দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলির বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।