ব্যুরো নিউজ,১২ ডিসেম্বর:প্রতিবছরের মতো শীতের কুয়াশা ও ঘন ধোঁয়াশার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে, যখন ঠান্ডা প্রকট হয়ে ওঠে, তখন সীমান্ত এলাকায় দেখা দেয় এই অস্থিরতা। বিএসএফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সময়ে সীমান্ত পাহারার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে কারণ শীতকালে দৃশ্যমানতা কমে যায় এবং কুয়াশা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে।ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২২১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানার মধ্যে ১৮৪৯ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত এবং ১৭০ কিলোমিটার জলসীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই।এর ফলে অনুপ্রবেশের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। শীতের শুরু থেকে বিশেষ করে সন্ধ্যায় কুয়াশার কারণে সীমান্ত পাহারা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময়ে অনেক অনুপ্রবেশকারী নদীপথ বা জঙ্গলের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
মায়ানমারের শাসক দল বিপদে, মংডো দখলে আরাকান আর্মি
অরক্ষিত স্থানগুলো বন্ধ
গোয়েন্দা সূত্রে খবর অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ‘দালাল চক্র’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দালালরা বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তের অপর প্রান্তে পৌঁছে দেন এবং তারপর তাদের সহায়তায় সীমান্ত পার করে অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। এসব অনুপ্রবেশকারীরা প্রায়ই আধার, ভোটার এবং প্যান কার্ড তৈরি করাতে দালালদের মাধ্যমে দেশীয় আইনি পরিচয় তৈরি করে।ভারতীয় সীমান্তে ঢোকা পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রায়ই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে চলে যায় যেখানে তারা নির্মাণ শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত হয়। বিএসএফের কর্মকর্তারা জানান নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশি ঘটে কারণ এই এলাকাগুলি কলকাতার কাছাকাছি এবং সহজে মিলিয়ে যেতে পারে।
সেডান গাড়ি থেকে উদ্ধার ১০০ কেজি গাঁজা, গ্রেফতার চালক
তবে বিএসএফ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়া বায়োমেট্রিক মেশিনও বসানো হয়েছে সীমান্তে। ২০২৩ সালে বিএসএফ উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার থেকে ১২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ১৭৩ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।বিএসএফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সীমান্তে আরও শক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, এবং ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় শীঘ্রই সীমান্তে ফেন্সিং স্থাপন করা হবে যাতে সীমান্ত অরক্ষিত স্থানগুলো বন্ধ করা যায়।