ব্যুরো নিউজ,২ অক্টোবর:গবেষকরা নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন যে করোনা মহামারীর সময়ে পৃথিবীতে লকডাউনের প্রভাব চাঁদেও পড়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে যখন লকডাউন চলছিল, তখন চাঁদের তাপমাত্রায় অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস হতে দেখা গেছে। ভারতের গবেষকরা ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসে চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।গবেষকরা জানিয়েছেন যে, করোনার কারণে পৃথিবী থেকে নির্গত বিকিরণের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে চাঁদের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে, সেই সময় চাঁদের রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৮-১০ কেলভিন কমে গিয়েছিল। নাসার লুনার রিকনাইসেন্স অরবিটার (LRO) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
অক্ষয়ের সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত গল্প
লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত
গবেষণাটি রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিস: লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক কে. দুর্গা প্রসাদ এবং জি. অ্যাম্বিলি জানান, “চাঁদ সম্ভবত পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন অধ্যয়নের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।”লকডাউনের সময় গ্রীনহাউস গ্যাসের নির্গমনের মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী এই লকডাউনটি শিল্প দূষণ, পরিবহন এবং জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর মতো কাজ ও কম হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, মানুষের কার্যকলাপের এই হ্রাসের ফলে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিমানে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীর অমানবিক অপমানঃ ব্রিটিশ সাংবাদিকের শোচনীয় অভিজ্ঞতা
গবেষকরা চাঁদের ছয়টি স্থান—ওশেনাস প্রোসেলারাম, মেরে সেরেনিটাটিস, মেরে ইমব্রিয়াম, এবং মেরে ট্রানকুইলিটাটিস—এ রাতের তাপমাত্রা অধ্যয়ন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসের সময় এই সব স্থানে সর্বাধিক তাপমাত্রার হ্রাস ঘটেছে।পিআরএল-এর পরিচালক অনিল ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, “এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একেবারেই অনন্য।” করোনা মহামারীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রভাব শুধু পৃথিবী নয়, বরং আমাদের চাঁদেও প্রতিফলিত হয়েছে, যা আমাদের পরিবেশ নিয়ে নতুন ভাবনা চিন্তার অবকাশ দিয়েছে।