ব্যুরো নিউজ,৪ ডিসেম্বর:বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে এবার সরব হলেন দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি।তিনি বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে এক চিঠিতে সেদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান হামলা ও অত্যাচার রোধ করার জন্য তীব্র পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুখারি তার চিঠিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত অশান্তিতে সঙ্গীতশিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপসের শান্তির বার্তা,কি বললেন তিনি?
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া কি হবে?
চিঠিতে বুখারি লিখেছেন ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব, মিডিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রভাবশালী মহল শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক সর্বদা দৃঢ় ছিল।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের শাসনামলে মুসলিম ও অমুসলিম সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে যায়, যা বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে।ইমাম বুখারি বলেন ‘এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে থেকে গেলেও হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, অত্যাচার এবং অবিচার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’ তিনি ঢাকাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং বাংলাদেশের প্রতিটি সংকট মুহূর্তে ভারত পাশে দাঁড়িয়েছে।
নাহিদ ইসলামের ভারত-বিরোধী মন্তব্যঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
তিনি আরও বলেন ‘বাংলাদেশের সরকারকে স্বীকার করতে হবে যে, আমরা সবসময় তাদের পাশে থেকেছি, তাদের শরণার্থীদের সমর্থন ও যত্ন দিয়েছি, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বদা সাহায্য করেছি।’ বুখারি তীব্র ভাষায় দাবি করেছেন ‘মহম্মদ ইউনুস, যিনি একটি নোবেল পুরস্কৃত ব্যক্তিত্ব, তাকে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি অক্ষুন্ন থাকে।’ চিঠির শেষে বুখারি ইসলাম ধর্মের শিক্ষা দিয়ে বলেন ‘একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলাম এবং ইসলামী আইনশাস্ত্র কখনও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবিচার বা কুসংস্কারের জায়গা দেয় না।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।