ব্যুরো নিউজ, ১৩ জুলাই: হকার উচ্ছেদে বুলডোজার অপারেশন শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু হকার উচ্ছেদ বলেই নয়, নির্দেশ দিয়েছিলেন যে সমস্ত সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গাতেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভেঙে ফেলতে হবে। এরকম একাধিক হাইকোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, বিধায়করা টাকা খেয়ে এই ধরনের সরকারি জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাদ যাননি পুলিশ প্রশাসনের অফিসাররাও। তারাও যে এর সঙ্গে জড়িত সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি।তারপরেই শুরু হয়েছিল বুলডোজার অপারেশন। এবার প্রশ্ন উঠলো, কামারহাটির আড়িয়াদহের মৌসুমী রোডে গ্যাংস্টার জয়ন্ত সিংয়ের যে বিশাল রাজপ্রাসাদ রয়েছে তার কি হবে?
বাংলার একী হাল?জেলাগুলোতে পড়ে রয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা, অথচ কাজ নেই গ্রামবাংলায়, উঠছে প্রশ্ন
কামারহাটি মিউনিসিপ্যালিটি কি বলছে?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা জানা গিয়েছে, কাচ দিয়ে ঘেরা ব্যালকনি সমেত পুকুরের সামনে বিশাল এই অট্টালিকাটি সম্পূর্ণই অবৈধ। যতদূর জানা যায়, তার কোনো বৈধ লিগ্যাল ল্যান্ড পেপার নেই। এমনকি কামারহাটি মিউনিসিপ্যালিটিও ওই বাড়ির ব্যাপারে কোনো অনুমোদন দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রাসাদোপম বাড়িটি তৈরি হয়েছে পুকুরের একাংশ বুজিয়ে। ফলে এটা পরিষ্কার সরকারি জায়গা দখল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে জায়ান্ট সিংয়ের এই প্রাসাদ।
দরকার নেই ডিগ্রি, যেতে হবে না অফিসে, ঘরে বসেই রোজগার করুন মোটা অঙ্কের টাকা, কীভাবে, দেখুন
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা জানান, এরকম যে বাড়ি তৈরি হয়েছে তা তিনি জানতেন না। কে জমির মালিক সেটা জানতে পারিনি। তবে দাগ নম্বর চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট করেছেন, বেআইনিভাবেই বাড়িটি তৈরি হয়েছে।এটা ইললিগ্যাল কনস্ট্রাকশন। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, তাহলে কি জয়ন্ত সিংয়ের এই প্রাসাদ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলা হবে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কি এখানে আদৌ পালন করা হবে? সেটা দেখার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।