ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট: রাজ্যের আইসিডিএস সেন্টার বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে। সেখানে সঠিকভাবে মানুষের ব্যবহার্য পরিস্থিতি বহু আইসিডিএস কেন্দ্রে নেই। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যে মোট আইসিডিএস কেন্দ্র ১ লক্ষ ৭২১১ টি। তার মধ্যে ২২১৯৫ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোন শৌচাগার নেই।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ কেন?হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য
ICDS সেন্টারগুলোর বেহাল দশা রাজ্যে:
মমতার সরকার হিসাব দেয় না, তবে পুরনো অভ্যাস বদলাচ্ছে, সংসদে মন্তব্য অমিত শাহের
শুধু তাই নয়, বাংলার বহু আইসিডিএস সেন্টারে কখনো খাবারের মধ্যে টিকটিকি, কখনো একেবারে নিম্নমানের চাল, ডাল, শিশুদের খাওয়ার অযোগ্য খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। যা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের অসুস্থ করে তুলছে। এরকম একাধিক নজির রয়েছে। আর সম্প্রতি তথ্য থেকে যা প্রকাশ্যে উঠে এলো, তাতে এই আইসিডিএস কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর যথেষ্ট বেআব্রু দশা। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য সরকার যথেষ্ট চাপে পড়েছে। তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যের মোট আইসিডিএস সেন্টারের অর্ধেকের বেশি কেন্দ্রে শৌচাগার নেই বা যেখানে তা আছে, সেটাও ব্যবহারের অযোগ্য। আরো যা জানা যাচ্ছে, ১৫৭৩৩ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ২৩ হাজার ৫৯১ টি শৌচাগার নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শহর জুড়ে হকার সমীক্ষা শুরু আজ থেকে।সময় বেঁধে দিলেন মেয়র পারিষদ
রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন খাতে টাকা দেয় না, বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে বহুবার অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু রাজ্যের আইসিডিএস সেন্টারগুলির অবস্থা চোখের সামনে দেখলেই অবাক হয়ে যেতে হয়। যেখানে রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে চিঠি পাঠিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব আইসিডিএস সেন্টারের শৌচাগার নির্মাণ এবং সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।