ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।তারা সোমবার থেকে কাজে যোগ দেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন।বর্তমানে অনশনরত ডাক্তারদের মধ্যে অনিকেত মাহাত, অলোক ভার্মা এবং অনুষ্ঠুপ মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তারা আমরণ অনশন করছেন। এ কারণে তিনজন জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে আরও ছয় জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
গণইস্তফার আবহে শুভেন্দুর কার্নিভাল বয়কটের আহ্বান, রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
রাজ্য সরকার চাপের মুখে
এদিকে, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ৭৭ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন। রবিবার তারা হাসপাতালের রেজিস্ট্রারকে একটি ইমেল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ইস্তফাপত্রে ৭৭ জনের স্বাক্ষর রয়েছে এবং ইমেল পাঠানোর পর সোমবার থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন না।যদিও জুনিয়র ডাক্তাররা একাদশীর দিনেও অনশন অব্যাহত রাখবেন, তাতে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। রাজ্য সরকার যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর্থক ভূমিকা না নেয়, তাহলে তারা আন্দোলন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।
বক্স অফিসে সাফল্য, কিন্তু দর্শক সংখ্যা কমছে কেন ?
মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘গণইস্তফা’ নিয়ে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা না দিলে সেটি পদত্যাগ হিসাবে গৃহীত হবে না। তিনি জানিয়েছেন, “ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এটি কোনো গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়, অভিযোগের অভাব রয়েছে।”কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ডাক্তাররা ইস্তফাপত্রে লিখেছেন, “৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করছেন।” আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টার মন্তব্যকে নিন্দনীয় হিসেবে অভিহিত করেছেন। পরিস্থিতি এখন এমন, যে ডাক্তারদের আন্দোলনের ফলে রাজ্য সরকার চাপের মুখে রয়েছে।