ব্যুরো নিউজ,২০ ডিসেম্বর:পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই সুস্থ থাকার জন্য সবুজ শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই সব্জি ও ফলে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে, শাকসবজি ও ফলের পাশাপাশি এক অন্য সমস্যা হলো তাদের গায়ে লেগে থাকা কীটনাশক। ফল ও সব্জি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকরা নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন, যা খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে পৌঁছাতে পারে। শরীরে কীটনাশক জমলে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে, এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে এটি শরীরে থাকা ক্যানসার বা প্রজনন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পাঁচ বছর পর পৌষ মেলা ফিরে আসছে পূর্বপল্লির মাঠে
বাজার থেকে কেনা সব্জি বা ফল যদি যথাযথভাবে ধুয়ে না খাওয়া হয়, তবে এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত, বেশিরভাগ ফল ও সব্জিতে কীটনাশক থাকে, কিন্তু সেগুলি ধুয়ে খেলে অনেকটা সমস্যা কমানো যায়। তবে কিছু ফল ও সব্জি এমনভাবে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়, যা ধোয়ার পরেও পুরোপুরি চলে যায় না। নিচে জানানো হল, এমন কিছু ফল এবং সব্জির নাম, যেগুলিতে কীটনাশক থাকে এবং সেগুলি সঠিকভাবে ধুয়ে খাওয়ার উপায়।
কি কি উপায়?
১) পালং শাক: বাজারে কেনা প্রায় ৭৬% পালং শাকে পার্মাথ্রিন নামে এক ধরনের কীটনাশক পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই রাসায়নিকটি স্নায়ুর সমস্যা এবং ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই, পালং শাক নুন-জলে ভিজিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে তারপর খাওয়া উচিত।
২) আঙুর এবং আপেল: আঙুর এবং আপেলের গায়ে প্রচুর কীটনাশক থাকে। এসব ফল কিনে আনার পর ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত, কারণ এতে ডাইফিনাইলঅ্যামাইন নামক রাসায়নিক থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৩) পেয়ারা: পেয়ারা খুবই পুষ্টিকর, তবে এটি খাওয়ার আগে ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। পেয়ারার গায়ে প্রায় ৬৪ রকম কীটনাশক পাওয়া গেছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত।
৪) সবুজ শাকপাতা: যেকোনো ধরনের শাকপাতাতেই প্রচুর কীটনাশক থাকে। প্রায় ১০৩ রকম কীটনাশক উপাদান শাকপাতা থেকে পাওয়া গেছে। তাই শাকপাতা রান্না করার আগে নুন-জলে ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
কালীঘাটের চুম্বন নিয়ে এ কি বলল বাংলার youtuber কিরণ দত্ত?
কীভাবে সব্জি-ফল কীটনাশক মুক্ত করবেন?
দোকান থেকে কিনে আনা সব্জি বা ফলগুলোকে কীটনাশক মুক্ত করার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমত, রাসায়নিক মিশ্রিত দ্রবণে খাবার ধুয়ে ফেলবেন না। এর বদলে, আপনি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন বেকিং সোডা ও জলের মিশ্রণ। এই দ্রবণে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে নিলেই ৯০% কীটনাশক দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও, সম পরিমাণ জল এবং ভিনিগার মিশিয়ে একটি দ্রবণ বানিয়ে তাতে এক চিমটে নুন মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য সব্জি ও ফল ডুবিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।এই সহজ পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে আপনি সব্জি এবং ফল থেকে কীটনাশক দূর করতে পারবেন এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।