অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে বা কাজ করলে খিদে পেয়ে যায়?

ব্যুরো নিউজ,৮ জানুয়ারি:প্রায়শই আমাদের দিনের শেষে তৃপ্তি নিয়ে খাবারের প্লেট ফাঁকা করে দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার খিদে পেয়ে যায়। চোখের সামনে কোন লোভনীয় খাবার দেখলে নিজেকে থামাতে পারছেন না, ফলে ওজন কমানোর চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, নিয়মিত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন, কিন্তু খাওয়ার পরেও যদি খিদে পায়, তবে তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষ জানান, “খিদে পেলে খাওয়া উচিত, তবে কী খাবেন তা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। খাবার খাওয়ার পরেও যদি খিদে আসে, তাহলে এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে।”

নুসরত জাহানের জন্মদিনে যশ দাশগুপ্তের প্রেমের উষ্ণ শুভেচ্ছা

 কী কী কারণ রয়েছে


১) চোখের খিদে:
অনেকেই ভরপেট খাওয়ার পরেও আইসক্রিম বা অন্য কোন মিষ্টি খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, চোখের সামনে লোভনীয় খাবার দেখলে বা তার গন্ধ পেলেও খিদে বেড়ে যেতে পারে। সিনেমা বা সিরিজ দেখার সময়েও অনেকের মুখ চলে যায় খাবারের দিকে, যা আসলে চোখের খিদে।

২) অবসাদ:
মানসিক চাপ, উদ্বেগ কিংবা অবসাদও খিদে বাড়াতে পারে। ‘ফ্রন্টিয়ার ইন সাইকিয়াট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, উদ্বেগ বা মানসিক চাপের কারণে অনেকেই অতিরিক্ত মশলাদার বা মুখরোচক খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন।

তিব্বতে তীব্র ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬

৩) অনিদ্রা:
ঘুমের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক রয়েছে। কম ঘুম হলে শরীরের ক্ষুধার অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে। ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁরা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের খিদে বেশি অনুভূত হয়।

এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা কীভাবে করবেন?

১) প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
যেসব খাবারে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি থাকে, সেগুলি দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার ডায়েটে রাখতে পারেন, যেমন ডাল, ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি।

শুক্রের মালব্য রাজযোগঃ তিনটি রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য সৌভাগ্যের সময়। জেনে নিন কোন কোন রাশি

২) খাবার হাতের কাছে রাখবেন না:
অনেকেরই অভ্যেস থাকে, খাবার হাতের কাছে রেখে ততটুকু খাওয়ার চেষ্টা করা। এতে অবচেতনভাবে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা যায়। তাই খাবার রাখার স্থানে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। অনলাইনে খাবার অর্ডার করার প্রবণতাও কমাতে হবে।

৩) স্বাস্থ্যকর পানীয়:
খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর তরল পানীয় যেমন লেবু জল, স্যুপ বা হারবাল চা খেতে পারেন। এতে শরীরও সুরক্ষিত থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না।

এভাবে খিদে নিয়ে আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মনে রাখবেন, আপনি যদি খাবার নিয়ে সচেতন হন, তাহলে আপনার শরীরও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর