ব্যুরো নিউজ ২০ নভেম্বর : বাংলার শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন সংযোজন হতে চলেছে হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড। এটি একটি বিশেষ মূল্যায়ন পদ্ধতি, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের শুধুমাত্র পড়াশোনার সাফল্য নয় তাদের সার্বিক বিকাশের চিত্র ফুটে উঠবে। গত বছর থেকেই এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এবার তার বাস্তবায়নের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুললেন নেহা ভাসিন
রিপোর্ট কার্ডে কোনও সরাসরি নম্বর থাকবে না
হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের বৌদ্ধিক, আচরণগত এবং মানসিক বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের বৌদ্ধিক বিকাশ থেকে শুরু করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের সার্বিক মানসিক ও আচরণগত অগ্রগতি এই কার্ডে তুলে ধরা হবে। কোনও ছাত্র অঙ্কে দুর্বল হতে পারে কিন্তু ইংরেজিতে দারুণ পারদর্শী। আবার কেউ হয়তো একলা থাকতে পছন্দ করে বা অন্য কারও সঙ্গে সহজে মিশতে পারে না। এই ধরনের বিষয়গুলো অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বুঝতে পারবেন। এর ফলে অভিভাবক এবং শিক্ষক একসঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে ছাত্রটির সার্বিক উন্নতিতে কাজ করতে পারবেন।এই রিপোর্ট কার্ডে কোনও সরাসরি নম্বর থাকবে না। বরং এর মাধ্যমে পড়ুয়ার শক্তি এবং দুর্বল দিকগুলো স্পষ্ট হবে। কোথায় বিশেষ নজর প্রয়োজন সেটাও সহজে বোঝা যাবে।
কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের নিরাপত্তা নিয়ে শোরগোল, মদন মিত্রর বিতর্কিত মন্তব্য
তবে রিপোর্ট কার্ড সংরক্ষণের বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নথি সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাই শিক্ষকদের একাংশ এই রিপোর্ট কার্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে এই রিপোর্ট কার্ড সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। অনলাইনে থাকলে শিক্ষকরা প্রয়োজনে যে কোনো সময় ছাত্র-ছাত্রীর পূর্ববর্তী রিপোর্ট কার্ড দেখতে পারবেন। এতে সময় এবং কাগজ সংরক্ষণের সমস্যা দূর হবে।