ব্যুরো নিউজ,৮ জানুয়ারি:এই মুহূর্তে একটি নতুন ভাইরাসের নাম শোনা যাচ্ছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা HMPV। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে মানুষ সদ্য মুক্তি পেয়েছে, আর তার মধ্যে এই নতুন ভাইরাসের খবর ছড়িয়ে পড়ার ফলে আবারও মানুষ ভীত হয়ে পড়ছে। পুরনো আতঙ্ক যেন ফিরে আসছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই এর জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রশাসন এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে, এবং মানুষের পাশে রয়েছে।
রুদ্রনীল ঘোষ তার নিজের জন্মদিনে ফিডিং বোতল দিয়ে মদ্যপান! হাসতে হাসতে কি বললেন তিনি?
“চীনা ভাইরাস”
HMPV-কে সাধারণভাবে “চীনা ভাইরাস” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, কিন্তু এর উৎস আসলে চীন নয়। এই ভাইরাস প্রথম মানুষের মধ্যে ১৯৭০-এর দশকে ছড়িয়ে পড়ে, তবে তখন এটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করেন। তাও, প্রথমদিকে সাধারণ ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থাকায় এটি আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই দশক গবেষণার পর ডাচ বিজ্ঞানীরা ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স তৈরি করেন, এবং এর নাম দেওয়া হয় HMPV।তবে কেন “চীনা ভাইরাস” বলা হচ্ছে? সম্প্রতি চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর, সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় HMPV ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে, অনেকেই মনে করেছেন, ভাইরাসটির উৎস চীন। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও HMPV সংক্রমণ নতুন কিছু নয়।
নতুন বিতর্কে কানইয়ে ওয়েস্টঃ স্ত্রীর নগ্ন ভিডিয়ো পোস্ট নিয়ে নিন্দার ঝড়
এখন প্রশ্ন হল, এই ভাইরাস কি কোভিড-১৯ থেকে আরও বিপজ্জনক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত HMPV-এর জন্য কোনো প্রতিরক্ষা ভ্যাকসিন নেই, তবে এটি কোভিডের মতো মারাত্মক বিপদ সৃষ্টি করবে, এমন আশঙ্কা করা অমূলক। বরং কোভিডের সময় যে সতর্কতাগুলো আমরা শিখেছি, তা HMPV-এর সংক্রমণ রোধে সহায়ক হবে। মানুষের কাছাকাছি না আসা, আক্রান্তদের ভিড় এড়িয়ে চলা, এবং সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলেই ভাইরাসটি বেশি ছড়িয়ে পড়বে না।তবে, এতো কিছু বলার পরও, কিছুটা আতঙ্ক রয়েছে সত্যি। তাই, সাবধানতার সাথে পরিস্থিতির মোকাবিলা করাই সবচেয়ে ভালো। সাবধানের মার নেই, তাই ভয় না পেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।