ব্যুরো নিউজ,১৪ ফেব্রুয়ারি :ভারত এমন অনেক ঐতিহাসিক স্থানে ভরপুর, যা শুধুমাত্র তাদের স্থাপত্যশৈলী এবং সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত নয়, বরং সেগুলোর সাথে জড়িত রয়েছে রোমান্টিক ইতিহাস। তেমনই কিছু প্রেমের স্মৃতিচিহ্ন তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
কোন কোন স্থান?
তাজমহল:
পৃথিবীজুড়ে পরিচিত একটি প্রেমের প্রতীক, তাজমহল ভারতের আগরা শহরে অবস্থিত। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মৃতিতে এই বিখ্যাত সাদা মার্বেল পাথরের সৌধটি তৈরি করেছিলেন। এটি ভারত ও বিশ্বজুড়ে প্রখ্যাত, এবং ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো এটি ‘বিশ্ব হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পূর্ণিমা রাতে তাজমহলের সৌন্দর্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। তাজমহলে তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে এবং এর সামনের সুদৃশ্য বাগান ও ফোয়ারা দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করে। তাজমহল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে রাত্রে জ্যোৎস্না দেখতে যাওয়ার জন্য সীমিত সংখ্যক টিকিট পাওয়া যায়।
রূপমতী মহল:
মধ্যপ্রদেশের মান্ডুতে অবস্থিত রূপমতী মহলও প্রেমের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে পরিচিত। শোনা যায়, মালওয়ার সুলতান বাজ বাহাদুর তাঁর প্রেমিকা রূপমতীর জন্য পাহাড়ের চূড়ায় একটি মহল নির্মাণ করেছিলেন। এদিকে, আকবরের সেনাপতি আধম খান রূপমতীর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সুলতান বাজ বাহাদুরের পরাজয়ের পর রূপমতী বিষ পান করেন। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য বিশেষ আকর্ষণীয়। রূপমতী মহলে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভ্রমণ করা যায়।
ভ্যালেনটাইনস ডে ২০২৫ঃ প্রিয়জনকে পাঠান কিছু হৃদয়স্পর্শী শুভেচ্ছাবার্তা
শনিওয়ার ওয়াড়া:
পুণের শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গটি মরাঠা রাজবংশের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে পরিচিত। এখানে বাজিরাও এবং মস্তানির প্রেমের কাহিনি প্রচলিত আছে। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘বাজিরাও মস্তানি’ এই কাহিনির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল। শনিওয়ার ওয়াড়ায় মস্তানি দরওয়াজা নামে একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে, যা মস্তানির নামানুসারে রাখা হয়েছে। এই দুর্গের ভিতরে রয়েছে কাচের ঘর, নৃত্য পরিবেশনের জন্য বিশাল মহল এবং সুবিশাল বাগিচা। শনিওয়ার ওয়াড়ায় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘোরার সুযোগ রয়েছে।
Valentine Day বা ভালবাসা দিবসে জানুন কোন রাশির জন্য কোন রাশির সংযোগ শুভ। ভালবাসা জমে হবে ক্ষীর
যেভাবে যাবেন:
তাজমহল দেখার জন্য আগরা যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে ট্রেন, বা বিমানযোগে পৌঁছানো যায়। রূপমতী মহল দেখতে মান্ডু যাওয়ার জন্য ইনদওর থেকে সড়কপথে ১০০ কিলোমিটার যেতে হবে। শনিওয়ার ওয়াড়া পুণেতে অবস্থিত, এবং এখানে পৌঁছাতে কলকাতা থেকে বিমানযোগে পুণে পৌঁছে সড়কপথে যেতে হবে।এগুলি এমন কিছু ঐতিহাসিক স্থান, যা ভারতীয় সংস্কৃতি, স্থাপত্য এবং প্রেমের গল্পের এক অমলিন অংশ হয়ে রয়েছে। এগুলির মাধ্যমে আজও আমরা সেই ইতিহাসের মাঝে ফিরে যেতে পারি এবং প্রেমের অমর কাহিনিগুলি অনুভব করতে পারি।