লাবনী চৌধুরী, ১১ জুন : সকালের জলখাবার হোক বা সন্ধ্যের টিফিন, ভাজা- ভুজি খেতে কার না ভাললাগে। আর বাড়িতে যদি থাকে বাচ্চা-কাচ্চা তবে তো কথাই নেই। তাই সকাল হোক বা সন্ধ্যে এই হিংয়ের কচুরিই করবে বাজিমাত।
চিকেন কষা, চিলি চিকেন খেয়ে বোর? এবার মোগলাই চিকেন মহারানিতেই করুন বাজিমাত!
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে হিং খুবই উপকারি। তাই অনেকেই ডালে বা তরকারিতে হিং খেতে পছন্দ করেন। তবে আজকালকার বাচ্চারা হিং-এর নাম শুনলেই ‘পালাই পালাই’… তাই এই কচুরিই একসাথে যেমন ভাজাভুজির চাহিদা মেটাবে, তেমনই শরীরও রাখবে ঠাণ্ডা।
উপকরণ-
ময়দা, নুন, চিনি, সাদা তেল, উষ্ণ গরম জল, টমেটো, গোটা জিরে, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, হিং ও আলু।
পদ্ধতি-
প্রথমে একটা বড় পাত্রে পরিমাণ মত ময়দা নিয়ে নিন। সেটাতে স্বাদমত নুন ও হাফ চামচ চিনি ও একটু সাদা তেল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার উষ্ণ গরম জল দিয়ে ময়দাটা মেখে ৩০-৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
এরপর কড়াই গরম করে তাতে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ও হিং দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এরপর অল্প হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো ও সামান্য নুন দিয়ে নেড়ে নিন। এবার এতে ১-২ টো টমেটো কুচি ও ২-৩ টে কাঁচা লঙ্কা চিরে দিন। মশলা কষে এলে সেদ্ধ করে রাখা আলুর টুকরোগুলি দিয়ে দিন। এবার মশলার সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে কড়াইটা ঢাকা দিয়ে দিন। ভালো মত ফুটে গেলে গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন। চাইলে ধনেপাতা কুচিও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
এবার আগে থেকে মেখে রাখা ময়দার লেচি কেটে নিন। এবার সেই লেচিতে হিং-এর মশলা অ্যাড করার পালা। কচুরির ভেতরের মশলার জন্য প্রথমে বড় একটা বাটিতে ছাতু নিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে এক চামচ হিং, স্বাদমতো নুন, ভাজা মশলার গুঁড়ো, হাফ চামচ চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার ময়দার লেচিতে হিং-এর পুর ভরে চারিদিক থেকে ভালোভাবে মুড়ে দিতে হবে। যাতে কোনও ভাবে ভেতরের মশলা বেড়িয়ে না যায়। এবার বেলে নিয়ে মরম তেলে ভেজে। আলুর দমের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন হিংয়ের কচুরি।