ব্যুরো নিউজ ২৪ সেপ্টেম্বর: উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আবার দেখা দিল। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতিরা জানিয়েছে, তারা আপাতত হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করছেন না। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে উল্লাসের পাশাপাশি উদ্বেগও বেড়ে গেছে।
আরজি কর প্রতিবাদে মুখর নাট্যদল,সরকারি অনুদান ফিরিয়ে বয়কট নাট্যমেলাও
হাইকোর্টের রায়
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কে উচ্চ প্রাথমিকে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং সেই তালিকার ভিত্তিতে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার পর, ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে, কিছু চাকরিপ্রার্থী, যেমন রাজীব ব্রহ্ম, সুপ্রিম কোর্টে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন কারণে স্থগিত ছিল। ২০২০ সালে, আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয় এবং ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেয়। কিন্তু, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারে না বলে নির্দেশ ছিল। এ কারণে মামলাটি আবার নতুন ডিভিশন বেঞ্চে যায়।
High Court :হাইকোর্টের ভিতরেই সায়ন বনাম কল্যাণের তুমুল বিতন্ডা, চমকে গেলেন বিচারপ্রার্থীরা
প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীরা জানান, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ জানানো হয়নি। এসএসসি পরে চারবার খতিয়ে দেখে, তবে অবশেষে ৭৪ জনের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুসরণ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।সামগ্রিকভাবে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং আশা করছে দ্রুত একটি সমাধান বের হবে।